দুই বছর পর রেড রোডে ঈদের অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানেই শেষ নয়। এদিন তিনি বিজেপিকে নিশানা করেন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই।। রেড রোডের (Red Road) নমাজ পাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, এখন বিভেদের রাজনীতি চলছে। এভাবে কোনও ভাগাভাগি একেবারেই উচিত নয়। “যতদিন আমার জীবন থাকবে আমি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান- সবার অধিকারের জন্য লড়াই করব। সবার জন্য সুবিচার চেয়ে আমি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। আমি জীবন দিয়ে দেব কিন্তু কোনো অবস্থাতেই মাথা নোয়াব না।“ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রেড রোডের নমাজ পাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
আরও পড়ুন-কলকাতার রেড রোডে ঈদ উদযাপনে অংশ নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, “আচ্ছে দিন না সাচ্চা দিন আসুক।“ হিন্দু-মুসলমানে বিভেদ করতে মিথ্যে রটনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “মিথ্যা কুৎসা ভয়ে আমি পিছিয়ে আসি না।“ যে শক্তি দেশকে টুকরো করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে লড়াই করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ডাক দেন মমতা।
ঈদের দিন শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দেন অভিষেক। তিনি বলেন, সবার মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক। সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হোক বাংলা।
আরও পড়ুন-অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিডের দু’বছর ঈদে অনুষ্ঠান করা যায়নি। এটা একটা ঐতিহাসিক জমায়েত। যেভাবে শান্তি-সম্প্রীতি-একতার বার্তা এই ঈদের জমায়েত থেকে ছড়িয়ে পড়ে, তা আর কোথাও হয় না। “এক মাস আপনারা নিজেদের সমর্পণ করেছেন। আল্লাহ আপনাদের সব প্রার্থনা কবুল করুন। আপনাদের খুশি রাখুন।“
সকালে আকাশের কালো করে বৃষ্টি হয়। মমতা বলেন, “যখন সকালে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে, তখন আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলাম তিনি শান্তির বারিধারা দিন, কিন্তু তা যেন এত না হয় যাতে আমার ভাইয়েরা একমাস রোজা রাখার পর নমাজ পড়তে না পারে। নমাজেরর পর বৃষ্টি হোক।“ মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “যে ভয় পায় সে মরে যায়। আর যে সাহস করে সেই এগিয়ে যেতে পারে। ভয় পাবেন না। এগিয়ে চলুন।“ তিনি উল্লেখ করেন এই রাজ্যে ঈদের দুদিন ছুটি হয়। আর কোনও রাজ্য সেটা হয় না। সরকারের পক্ষ থেকে প্রার্থনার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। বড় হজ হাউস হয়েছে।