প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। আগে যতবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতেছে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ফের মনে করিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দিতে বারবারই ব্যর্থ হয়েছে। ২০২১-এ শীতলকুচি কিংবা ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটে ৩৯ জনের মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাককালীনই হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই ভাষাতেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক বা না আসুক তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না। মানুষ তৃণমূলের পাশেই আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক বা না আসুক জিতবে তৃণমূলই। পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে অতীতে নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারপরও কী হয়েছে সবাই জানে। মানুষ তৃণমূলের পাশে থাকে। মানুষ তৃণমূলের পাশে রয়েছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। আমরা মানুষের আশীর্বাদ চাইছি এবং মানুষ এই আশীর্বাদ দেবে বলেও আমাদের বিশ্বাস। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পরেও গত পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে আমরা দারুণ ফল করেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শুক্রবারই কাকদ্বীপের সভা থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরেও তো কেন্দ্রীয় বাহিনী গেছে। তাও সেখানে মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ-রাজ্যেও একাধিক নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তারপরেও কত প্রাণ গেছে? ২০১৩-তেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কিন্তু ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাম আমলেও ২টি নির্বাচন, ২০০৩ সালে ৭০ জন ও ২০০৮ সালে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।