প্রতিবেদন : কথা রাখল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই হলদিয়ার দুই বিদ্যুৎহীন গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সওতানচকে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পৌঁছে গেল কংক্রিটের খুঁটি। বৃহস্পতিবার খুঁটি পোঁতার তোড়জোড় শুরু হতেই প্রবল উদ্দীপনা দেখা দেয় গ্রামবাসীদের মধ্যে। কিন্তু এরই মধ্যে গ্রামে পৌঁছে যান পোর্ট ট্রাস্টের দুই প্রতিনিধি। ছবি তোলেন খুঁটির।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীতে ব্যক্তিস্বার্থে নৈরাজ্য কায়েম উপাচার্যের
গ্রামবাসীদের কাছে জানতে চান, খুঁটি কারা ফেলেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই তাঁদের। কিন্তু পোর্টের লোকেদের গতিবিধি দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে বাধা দিতে পারে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নেপথ্যে কলকাঠি নাড়তে পারে বিজেপি। কারণ এতদিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ নিয়ে আসার ব্যাপারে কিছুই করতে পারেনি তারা। তাই গায়ের জ্বালা মেটাতে এই কাজে বিঘ্ন ঘটাতে চাইবেন গেরুয়া নেতারা। বিদ্যুৎ দফতর অবশ্য এই গ্রামদুটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বদ্ধপরিকর। কারণ সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট রুলিং, জমি নিয়ে আইনি জটিলতা থাকলেও জল এবং বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত করা চলবে না কোনও এলাকার বাসিন্দাদের। তাই এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি আদালতের দ্বারস্থ হয় তা হলে গ্রামবাসীদের হয়ে মামলা লড়বে রাজ্যই।
আরও পড়ুন-বড়দিনের আগে জোকা-তারাতলা মেট্রো
প্রসঙ্গত, শিল্পশহর হলদিয়ার এত বিকাশ এবং প্রগতি সত্ত্বেও এখানে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি শুনে ৮ ডিসেম্বর সেখানে ছুটে যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গ্রামবাসীদের মুখে সমস্যার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানান তিনি। রবিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ওইদিনই বিদ্যুৎ দফতরের অফিসারদের সেখানে পাঠান মন্ত্রী। সিদ্ধান্ত হয়, দুটি গ্রামেই অবিলম্বে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ ন্যূনতম অর্থের বিনিময়ে। বিষ্ণুরামচকের এক সভায় দৃঢ়তার সঙ্গে কুণাল জানান, গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আসবেই। প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করবে বিদ্যুৎ দফতর। বিজেপি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আদালতে গ্রামবাসীদের পক্ষে সওয়াল করবে রাজ্য সরকার। কুণালের আশ্বাসে আপ্লুত দুটি গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা। বৃহস্পতিবার সেই কথাই রাখল বিদ্যুৎ দফতর।