প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসার প্রকল্প ‘চোখের আলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে এবার আশা কর্মীদের ব্যবহার করা হবে। এজন্য তাঁদের আলাদা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখার তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে আশা কর্মীদের এখন থেকে চোখের আলো প্রকল্পের প্রচারের পাশাপাশি ওই প্রকল্পের স্থানীয় ব্যবস্থাপক হিসাবে ব্যবহার করা হবে। তাঁরা এলাকায় গিয়ে ছানির অস্ত্রোপচার প্রয়োজন এমন রোগীদের চিহ্নিত করবেন এবং কাছের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই পথে নামল পুরসভা ও পুলিশ, রাস্তা সারাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা
তাঁদের অপারেশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বাড়ি থেকে নিয়ে আসা এবং পরবর্তী কালে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁদের পালন করতে হবে। এজন্য রোগী পিছু তাঁদের ৩৫০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। এরপরও কোনও রোগীকে একাধিকবার চিকিৎসকের কাছে আনতে হলে আশা কর্মীদের আলাদা করে রোগী পিছু ১৫০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। সরকারি- বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা শিবির করা হলে সেখানেও রোগীদের নিয়ে আসার জন্যও আশা কর্মীরা একই হারে উৎসাহ ভাতা পাবেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে চোখের আলো প্রকল্প নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারায় রাজ্য সরকার তা নিয়ে পর্যালোচনার নির্দেশ দেয়। একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-কোভিডভীতি কাটিয়ে ভিড় পুজোর কেনাকাটায়
৬ থেকে ১৮ বছরের ছেলেমেয়ে বা ৪৫ ঊর্ধ্ব মানুষের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে ভুগলে বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ওই প্রকল্পের আওতায়। ওই প্রকল্পে ছানি অপারেশনের লক্ষমাত্রা পূরণের জন্য ৩০ নভেম্বরের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের সুবিধা যাতে আরও বেশি করে পৌঁছয় তার জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নবান্নের।