সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : অভিযোগ ছিল, মাঝে মধ্যেই অসম সীমানাবর্তী সংকোশ নদী পেরিয়ে লুকিয়ে চুরিয়ে অসমের বেশ কিছু শিকারি ইঁদুর, ছুঁচো ধরার আড়ালে পাখি, খরগোশ, গোসাপ, বেজি-সহ অন্যান্য জীবজন্তু বাংলার জঙ্গল থেকে শিকার করে নিয়ে যেত। তাদের কাছে বিষাক্ত তির-ধনুক সহ অন্যান্য অস্ত্র থাকায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও, তেমন জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারত না। তাই স্থানীয়রা বন দফতরকে খবর দেয়। খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেন রাজ্য বন দফতরের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার বনাধিকারিকরা।
শিকারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়ে যৌথ অভিযানে নামে বন দফতর। সোমবার সন্ধ্যায় সেই অভিযানে বড়সড় সাফল্য মেলে বন দফতরের। কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার জেলা সংলগ্ন অসম-বাংলা সীমানার সংকোশ নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোপনে স্থানীয়দের সাহায্যে চলে ওই অভিযান। আর সেই অভিযানেই আটক করা হয় অসম থেকে আসা ১৭ জন শিকারিকে। কোচবিহার-১ এর রেঞ্জ অফিসার সুদীপ দাস জানিয়েছেন, ওই ১৭ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় ১ দিন বন্ধ বাজার
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম থেকে প্রায় ১০০ জনের একটি দল তির-ধনুক সহ নানা অস্ত্র নিয়ে শিকার করতে ঢোকে বাংলায়। শিকারিদের অনুপ্রবেশ রুখতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে কোচবিহার জেলার তল্লিগুড়ি ও আটিয়ামোচড় রেঞ্জ সহ আলিপুর জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়ে, সংকোশ নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে তির-ধনুক সহ ১৭ জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও তাদের ব্যবহৃত প্রায় ২৫টি সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি অসম রাজ্যের শ্রীরামপুরে বলে জানা গেছে।