নতুন করে উত্তেজনা অসম এবং মেঘালয় সীমান্তে। মঙ্গলবার গুলির লড়াইয়ের ফলে এক বনরক্ষা কর্মী সহ কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই রাজ্যের সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মেঘলায়ের চেরি ব্লজম ফেস্টিভ্যাল (Cherry Blossom Festival)। শুধু তাই নয়, এই উৎসবে যে সাহিত্য অনুষ্ঠান (Literary event) হওয়ার কথা ছিল সেটাও বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা।
আরও পড়ুন-এবার তেলেঙ্গানার শ্রমমন্ত্রীর বাড়িতে আয়কর হানা, বিজেপিকেই নিশানা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার ভোররাতে। এদিন সীমান্তে থাকা মুখরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরই মেঘলায়ের মুখ্যমন্ত্রী কারনাড সাংমা একটি জরুরী বৈঠক ডাকেন। সেখানকার গ্রাম প্রধান এবং ধর্মীয় নেতাদের এই বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠকে শিলং লিটারারি ফেস্টিভ্যাল (Shillong Literary Festival) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেঘালয় (Meghalaya) রাজ্যের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুখরো (Mukroh) গ্রামে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তার জেরে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় এলাকার মতই পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড় (Khasi Hills), রিভই সহ অন্য এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে এবং সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ঘটনার পরই সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা না ছড়াতে পারেন সেই জন্য নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-‘রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন’, আদালতে আফতাবের সাফাই
মেঘালয় পুলিশের অভিযোগ, কাঠ কুড়িয়ে একটি গাড়িতে গ্রামবাসীরা ফিরছিলেন। সন্দেহের কারণে তাদের আটকায় অসমের বনরক্ষীরা। গ্রামবাসীদের চোরাকারবারী সন্দেহ করে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এদিকে অসমের বনরক্ষীরা গুলি চালাতেই গাড়ি থেকে নেমে গ্রামবাসীরা চিৎকার শুরু করেন। ছুটে আসেন আসে পাশের গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের পাল্টা গু*লিতে আক্রান্ত হয় অসমের বনরক্ষীরাও।