আড়রার বুড়োশিবতলায় শ্রাবণে আজও ঢল নামে ভক্তের

বল্লাল সেন ছিলেন শৈব উপাসক। সম্ভবত বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের ল্যাটেরাইট বা মাকড়া (বেলে) পাথর দিয়ে করিয়েছিলেন মূল কাঠামো।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শহরের ছোঁয়াচ বাঁচানো ছায়া তরুতলে আজও ইতিহাসের গরিমা গায়ে মেখে দাঁড়িয়ে রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির। শাল, পিয়াল, হিজল, বটের ঘোমটা মাথায় কাঁকসার জঙ্গলমহলের গভীর গহন বনবীথিকার পথ ধরে কিছুটা এগোতেই আড়রার বুড়োশিবতলা। সেখানেই বহু প্রাচীন মন্দির। ব্রিটিশ কালেক্টরির নথি জানাচ্ছে দ্বাদশ শতাব্দীতে মহারাজ বল্লাল সেন এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-বিধায়কের উদ্যোগে স্কুলে এল সৌরবিদ্যুৎ

বল্লাল সেন ছিলেন শৈব উপাসক। সম্ভবত বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের ল্যাটেরাইট বা মাকড়া (বেলে) পাথর দিয়ে করিয়েছিলেন মূল কাঠামো। মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির সূক্ষ্ম কাজ। দীর্ঘ প্রাকৃতিক অভিঘাতে একসময় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে এই ঐতিহাসিক মন্দির। পরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মন্দিরের মূল কাঠামো অক্ষত রেখে সংস্কার করে। প্রতিবছরই শ্রাবণ মাস পড়লে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। বসে শ্রাবণী মেলাও। বিশেষত প্রতি সোমবার বাবার মাথায় জল ঢালার জন্য দূরদূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত আসেন। গোপালপুর পঞ্চায়েত, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ এই মন্দির সংলগ্ন এলাকায় জলের কল, বিশ্রামাগার ইত্যদি নির্মাণ করে দিয়েছে। প্রতিদিনই বাবা মহাদেবের প্রসাদ পান কয়েক হাজার ভক্ত।

Latest article