গোয়াকে হারিয়ে বদলা মোহনবাগানের

মোহনবাগান ২(দিমিত্রি, বুমোস) এফসি গোয়া ১(আনোয়ার)

Must read

প্রতিবেদন : চোট-আঘাত সমস্যা নিয়েও নর্থইস্টের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল মোহনবাগান। আধা ফিট হুগো বুমোসকে নামিয়েই পুরনো দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে নিলেন জুয়ান ফেরান্দো। যুবভারতীতে এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবলে ফের তিনে উঠে এল মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan- FC Goa)। ২৩ পয়েন্ট সবুজ-মেরুনের। সেই সঙ্গে প্রথম পর্বে গোয়ার মাঠে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল জুয়ানের দল। সবুজ-মেরুনের দুই গোলদাতা দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং বুমোস। গোল করে এবং গোলে সহায়তা করে বাগানের জয়ের নায়ক দিমিত্রি। কিন্তু দিমিত্রি, লিস্টনরা সহজতম সুযোগ নষ্ট না করলে বড় ব্যবধানে জিততে পারত মোহনবাগান।

চোট-আঘাত সমস্যা থাকলেও ঘরের মাঠে জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজিই নিয়েছিলেন কোচ জুয়ান। পুরো ফিট না থাকলেও গোয়ার বিরুদ্ধে মর্যাদার ম্যাচে হুগো বুমোসকে দলে রাখেন স্প্যানিশ কোচ। নর্থইস্ট ম্যাচের দল থেকে প্রথম একাদশে দু’টি বদল আনেন জুয়ান। লেনি রডরিগেজ ও দীপক টাংরির জায়গায় আসেন যথাক্রমে প্রণয় হালদার এবং বুমোস। এই ম্যাচে চার বিদেশি নিয়েই খেলে মোহনবাগান। তিন ব্যাকে দিমিত্রি, আশিক, লিস্টনকে আপফ্রন্টে রেখে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে শুরু করেন জুয়ান। এই মরশুমে প্রথম মাঠে নামলেন প্রণয় এবং ভরসাও দিলেন অভিজ্ঞ বাঙালি মিডফিল্ডার।

আরও পড়ুন-আবাস যোজনা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে মুখ্যসচিবের কড়া নির্দেশ

শুরু থেকে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছিল সবুজ-মেরুন। একের পর এক আক্রমণ তুলে এনে গোয়ার রক্ষণকে চাপে রাখে জুয়ানের দল। বুমোস, লিস্টনরা ফাইনাল থার্ডে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন। প্রথম সাত-আট মিনিটের মধ্যেই বুমোস ও আশিস রাই সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। তবে দিমিত্রির দক্ষতায় মোহনবাগান খেলার ৯ মিনিটেই গোলের লকগেট খুলে ফেলে। লিস্টনের পাস থেকে কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকেও গোয়ার গোলকিপারকে পরাস্ত করে ডান পায়ের জোরালো সোয়ার্ভিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দিমিত্রি। প্রথম গোল তুলে নেওয়ার পর সবুজ-মেরুন আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। কিন্তু ২৫ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে প্রতিআক্রমণে গোল শোধ করে দেয় গোয়া। কার্ল ম্যাকহিউ ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় গোয়া। সেট পিস বিশেষজ্ঞ এডু বেদিয়ার অসাধারণ ফ্রি-কিকে পা ছুঁইয়ে গোল করে যান আনোয়ার আলি।

দ্বিতীয়ার্ধে দাপটে শুরু করে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan- FC Goa)। সবুজ-মেরুন আক্রমণে নেতৃত্ব দেন চোট সারিয়ে ফেরা বুমোস। পুরনো দলের বিরুদ্ধে পুরনো ছন্দে দেখা গেল ফরাসি মিডফিল্ডারকে। ৫২ মিনিটে বুমোসের গোলেই এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। বক্সের উপর দিমিত্রির পাস থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন বুমোস। ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পর সবুজ-মেরুন আক্রমণে ধার আরও বাড়ে। কিন্তু গোলের ব্যবধান বাড়েনি। বরং ৬৮ মিনিটে দিমিত্রি সহজতম গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে তখনই জয় নিশ্চিত করে ফেলতে পারত মোহনবাগান। পরিবর্ত
লেনির বাড়ানো থ্রু ধরে অনেকটা দৌড়ে একা গোয়ার গোলকিপার ধীরাজকে পেয়েও বল বাইরে মারেন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। এদিনও একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন।

Latest article