ধরমশালা, ২৮ অক্টোবর : আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী রইল বিশ্বকাপ। শনিবার টানটান উত্তেজনার মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে ৫ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া (Australia-New Zealand)। শেষ ওভারে জেতার জন্য ১৯ রান দরকার ছিল কিউয়িদের। কিন্তু পঞ্চম বলে জেমস নিশাম রান আউট হতেই ম্যাচ ঢলে পড়ে অস্ট্রেলীয়দের দিকে। টানা চার ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগোল অস্ট্রেলিয়া।
এদিন দলের বড় রানের ভিত গড়ে দেন দুই অস্ট্রেলীয় ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নায়ক হেড। মাত্র ২৫ বলে পঞ্চাশ করে বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়লেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ১০৯ রান করে। হেডের ৬৭ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৭টি ছয় দিয়ে।
কম গেলেন না ওয়ার্নারও। আগের দুটো ম্যাচে সেঞ্চুরির পর এই ম্যাচে তাঁর অবদান ৬৫ বলে ৮১। প্রথম উইকেটে মাত্র ১১৭ বলে ১৭৫ রান যোগ করেন ওয়ার্নার-হেড জুটি। সেই সময় মনে হয়েছিল, স্কোরবোর্ডে চারশোরও বেশি রান তুলবে অস্ট্রেলিয়া (Australia-New Zealand)। যদিও সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি স্টিভ স্মিথ (১৮), মিচেল মার্শ (৩৬), মার্নাস লাবুশেনরা (১৮)। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৪ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দেন। রান পেলেন জস ইংগ্লিস (২৮ বলে ৩৮) ও কামিন্সও (১৪ বলে ৩৭)।
জেতার জন্য ৩৮৯ রান তাড়া করে শুরুটা ভালই করেছিলেন ডেভন কনওয়ে (১৭ বলে ২৮) ও উইল ইয়ং (৩৭ বলে ৩২)। কিন্তু দু’জনেই পরপর আউট হয়ে যান। যদিও রাচিন রবীন্দ্রর আগ্রাসী সেঞ্চুরি ও ড্যারিল মিচেলের ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি লড়াইয়ে রেখেছিল নিউজিল্যান্ডকে। ৮৯ বলে ১১৬ রান করে আউট হন রবীন্দ্র। মিচেলের অবদান ৫১ বলে ৫৪। এরপর কিউয়িদের টানছিলেন নিশাম। কিন্তু ৩৯ বলে ৫৮ রান করে তিনি রান আউট হতেই সব শেষ। অ্যাডাম জাম্পা ৩ উইকেট নেন। দু’টি করে উইকেট পান কামিন্স ও জস হ্যাজলউড।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতী: আত্ম-প্রচারকদের ফলক সরাতে বলুক কেন্দ্র, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী