লখনউ, ৬ অক্টোবর : শামসির শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান। সঞ্জু স্যামসন ২০ রানের বেশি তুলতে পারেননি!
ইতিহাস ট্র্যাজিক নায়ককে মনে রাখে না। ৬৩ বলে ৮৬ নট আউটের এই ইনিংসও দ্রুত হারিয়ে যাবে। শুধু লিপিবদ্ধ থেকে যাবে সঞ্জুর লড়াই। বিশ্বকাপ দলে নেই। বিক্ষোভ হয়েছে তাঁর শহরে। সঞ্জু তখন চেন্নাইতে ভারত ‘এ’-কে জেতাচ্ছেন। আইপিএলেও অজস্র ম্যাচ জিতিয়েছেন রাজস্থানকে। এখানে সঙ্গীর অভাবে সেটা পারলেন না। তবে ৯ রানে ম্যাচ হেরেও নায়ক থেকে গেলেন কেরলের সঞ্জুই। ইতিহাস যাই করুক, সবাই এতে সহমত।
আড়াইশো তাড়া করতে গিয়ে ঈশান কিশান যখন ২০ রানে মহারাজকে উইকেট দিয়ে এলেন, বোর্ডে ভারত ৫১/৪। তার আগে অধিনায়ক ধাওয়ান ৪, শুভমন ৩ ও ঋতুরাজ ১৯ করে ফিরে গিয়েছেন। শেষ দুটো উইকেট স্পিনার সামসি ও মহারাজের। এই দুজনের হাতে বল আসার পরই ভারতের মুশকিল বাড়তে শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন-পুলিশকে মারধর
এখানে লাল মাটির উইকেট। বৃষ্টি হওয়ায় উইকেটের নিচে ভেজাভাব ছিল। বল থমকে এসেছে। মাটিতে বল গ্রিপ করে ঘুরেছে। কুলদীপের বেলাতেও সেটা হয়েছিল। পরের পার্টনারশিপে শ্রেয়স আইয়ার (৫০) আর সঞ্জু স্যামসন ( ৫৫) ৬৭ রান তুলে ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু এনগিডিকে পরপর তিনটি ডট বল খেলে শ্রেয়স এত অধৈর্য হয়ে গেলেন যে উইকেট দিয়ে চলে এলেন। ভারত তখন ১১৮/৫।
কিন্তু এরপরও ম্যাচটা ছিল। সঞ্জু তো ছিলেনই, তাঁর সঙ্গে মিলে ৯৩ রান জুড়ে ভারতকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন শারদুল ঠাকুর (৩৩)। কিন্তু ৩৮তম ওভারে শারদুল ও কুলদীপকে(০) পরপর দু’বলে ফেরত পাঠিয়ে জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন এনগিডি। এই ১৯তম ওভারেই সব গন্ডগোল হয়ে গেল। উইকেট গেল। সঞ্জু উল্টো দিকে থাকলেন। যদি স্ট্রাইক নিতে পারতেন! শেষমেশ ২৪০ রানে ইনিংস শেষ ভারতের।
আরও পড়ুন-মেট্রোতে রেকর্ড আয়
লখনউতে ৪৮ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি হয়েছে যে ম্যাচ ঠিক সময়ে শুরু হয়নি। তবু মাঠকর্মীরা ভেজা মাঠ শুকিয়ে ৪০ ওভারের ম্যাচ করতে পেরেছেন। ধাওয়ান দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন। তারা ৪০ ওভারে তোলে ২৪৯/৪। কুইন্টন ডি’কক (৪৮) সেট হয়েও উইকেট দিয়ে গেলেন। ৭১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও আফ্রিকানদের রানটা এতদূর এল ক্লাসেন (৭৪ নট আউট) ও মিলারের (৭৫ নট আউট) দাপটে। দু’জনের পার্টনারশিপে উঠল ১৩৯ রান।
আরও পড়ুন-স্ট্যাম্প ডিউটি ছাড়ের মেয়াদ বাড়াল সরকার
দুই বঙ্গ ক্রিকেটার শাহবাজ ও মুকেশকে প্রথম এগারোয় রাখেনি দল। শাহবাজ অনেকদিন দলের সঙ্গে। এখনও অপেক্ষায়। তিন সিমার ও দুই স্পিনার খেলল ভারত। দুই স্পিনার কুলদীপ ও বিষ্ণই। একটা উইকেট নিলেও অনেকটা করে বল ঘোরালেন কুলদীপ। কিন্তু বিষ্ণই ৮ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন। শারদুল ৮ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। সিরাজ ও আবেশ দিয়েছেন যথাক্রমে ৪৯ ও ৫১ রান।
বোলাররা যেমন মার খেয়েছেন, তেমনই খুব খারাপ ফিল্ডিং হয়েছে এদিন। চরটি ক্যাচ পড়েছে। অনেক রান গলেছে। ফিল্ডিং আর ভালহলে দক্ষিণ আফ্রিকা আড়াইশো করতে পারত না।