সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : বাগডোগরা বিমানবন্দরে রানওয়েতে ফাটল। মঙ্গলবার থমকে যায় পরিষেবা। বন্ধ হয় বিমান ওঠানামা। পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ফলে কয়েক হাজার বিমান যাত্রী বিমানবন্দরে বসে থেকে সারাদিন কাটালেন। সকালে দুটি বিমান ওঠানামার পরেই মূল রানওয়েতে ফাটল চোখে পড়ে কর্মীদের। সকাল ৯.৩০ মিনিট নাগাদ ফাটলটি চোখে পড়ে কর্মীদের। তারপর থেকেই সমস্ত বিমান ওঠা কিংবা নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল থেকে যাত্রীরা বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে থাকেন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের থেকে টাকা নিয়ে আসুন, বিধানসভায় বিজেপির সমালোচনা করলেন চন্দ্রিমা
কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন সমস্যার কথা। যদিও সকালের দিকে সমস্ত বিমান পরিষেবা বাতিল করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বেলা সাড়ে দশটার এয়ার এশিয়ার বিমানে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল সায়ন মজুমদার নামে এক যাত্রীর। তিনি প্রায় দু’ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাদে তাঁকে জানানো হয় বিমান বাতিল করা হয়েছে। আবার অনেক যাত্রীকে রানওয়েতে বিমানে বসিয়ে রাখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দুপুর পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে একটি বিমান এসেছিল। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ওপরে আকাশে প্রায় তিন ঘণ্টা চক্কর কাটে বিমানটি।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় পুরপ্রধান ঘোষণা
বিমানটিকে কোনওভাবেই বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দেয়নি বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই বিমানটি পরে গুয়াহাটিতে গিয়ে অবতরণ করে। তবে দুপুরের পরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, রানওয়েতে সমস্যার কারণে সমস্ত বিমানের উড়ান ও অবতরণ বাতিল করা হয়েছে। তবে বিকেলের পরে রানওয়ে মেরামতি করে বিমান উড়ান ও অবতরণের কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে কয়েক হাজার যাত্রী বিমানের অপেক্ষার কারণে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এছাড়াও পানীয় জল ও খাবারের সমস্যাও হয়।
আরও পড়ুন-ময়দানে পা রাখছে অভিষেকের ক্লাব
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকেল ৫টা নাগাদ প্রথম এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান অবতরণ করে। এরপরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের কাজের জন্য ১১ থেকে ২৫ এপ্রিল বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।