প্রতিবেদন : ফিফার নির্বাসন ভারতীয় ফুটবলের জন্য বিশাল বড় ধাক্কা। মেনে নিচ্ছেন বাইচুং ভুটিয়া। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এতে শাপে বর হল! প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ফিফা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর একটা ইতিবাচক দিকও কিন্তু রয়েছে। ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনকে সঠিক পথে ফেরানোর একটা সুযোগ পাওয়া গিয়েছে। তারজন্য ফুটবল ফেডারেশন এবং রাজ্য সংস্থাগুলোকে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করতে হবে।’’
আরও পড়ুন-ভাগাড়ে ২০ মানবভ্রূণ
এদিকে, ফিফার সিদ্ধান্তে হতাশ সুনীল ছেত্রী। তবে এখনই ভেঙে পড়ছেন না ভারতীয় ফুটবলের আইকন। বরং তিনি আশাবাদী, দ্রুত এই অচল অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যাবে। সেপ্টেম্বরে (২৪ ও ২৭ তারিখ) সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে দু’টি ফিফা ফ্রেন্ডলি খেলার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু আপাতত তা বিশবাঁও জলে। সুনীল অবশ্য বলছেন, ‘‘এআইএফএফ নিশ্চয়ই সমস্যাগুলো দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হবে। যাতে ভারতীয় ফুটবল আবার মূলস্রোতে ফিরে আসে।’’ সুনীল আরও যোগ করছেন, ‘‘আমাদের (ফুটবলারদের) এই বিষয়ে কিছু করার নেই। আমরা শুধু নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারি। নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারি। যখন আবার জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরব, তখন যাতে নিজেদের সেরাটা দিতে পারি।’’
আরও পড়ুন-অন্যতম সেরার স্বীকৃতি পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে, ভারতীয় ফুটবলের এই পরিণতির জন্য আবার ফুটবল প্রশাসকদের দিকে আঙুল তুলেছেন আরেক প্রাক্তন মেহতাব হোসেন। দুই প্রধানে দাপিয়ে খেলা মেহতাবের সোটাসাপ্টা বক্তব্য, ‘‘এর পুরো দায় ফুটবল প্রশাসকদের। যখন ফিফা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল গাইডলাইন না মেনে চললে নির্বাসিত করা হবে। তখন প্রশাসকরা কীসের অপেক্ষায় বসে ছিলেন? ওঁদের সময় নষ্ট করার ফল ভুগতে হচ্ছে ভারতীয় ফুটবলকে।’’
জাতীয় দলের আরেক প্রাক্তন তারকা সাবির আলির প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা হল সেটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য খুব খারাপ। আশা করি, এই নির্বাসন দ্রুত উঠে যাবে। ভারতে অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ সঠিক সময়েই হবে।’’