মণীশ কীর্তনিয়া: বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahaman) নিয়ে এখন বিজেপির সঙ্গে গলা মিলিয়ে সুর চড়াচ্ছে সিপিএম। অথচ এই নির্লজ্জ-বেহায়া সিপিএমের মনে রাখা উচিত বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) উত্থান বাম জমানাতেই। বামদের এক মন্ত্রীকে কিডনি দিয়েই বাকিবুরের মতো রেশন ডিলারের ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ। এবং রকেটের গতিতে উত্থান। দুর্নীতিতে হাতেখড়ি কিডনি নেওয়া ওই মন্ত্রী ও সিপিএম নেতাদের ছত্রছায়ায়। এখন কোন মুখে সিপিএম কথা বলে? চোরের মায়ের বড় গলা। সিপিএম বলুক তাদের জমানায় কোন মন্ত্রী বাকিবুরের কিডনি নিয়ে তাকে দুর্নীতিতে সাহায্য করেছে। ক্ষমতার অলিন্দে ঢোকার রাস্তা করে দিয়েছে। হিম্মত আছে? বাম জমানায় আমলাশোলের মতো ঘটনা ঘটেছে। না খেতে পেয়ে মানুষ মারা গিয়েছে। রেশনে চাল-ডাল-গম কিছুই পাওয়া যেত না। এবং যথেষ্ট উন্নতমানের। কোন মুখে কথা বলে সিপিএম? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা-মাটি-মানুষের সরকার তৈরি হওয়ার পর আমুল বদলে গিয়েছে বাংলা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন দফতরে বাস্তু ঘুঘুর বাসা ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে খাদ্য দফতরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাতেই জ্বলে-পুড়ে মরছে সিপিএম। এখন তাদের দোসর হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এই রামধনু জোট বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। এক শ্রেণির মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালিমালিপ্ত করছে রাজ্য সরকার ও দলকে। এই অবস্থায় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাফ অবস্থান নিয়েছেন। দুর্নীতির বাস্তু ঘুঘুদের কোনও ঠাঁই নেই। তার জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আগেও নিয়েছেন এখনও নিচ্ছেন। সিপিএমের জ্ঞান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তারা নিজেদের অতীতটা একবার আয়নায় দেখুক।
আরও পড়ুন- বালেশ্বরের মতোই অন্ধ্রতেও রেলের গাফিলতিতেই ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা