বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: পুজো শেষে নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে গিয়ে কৈলাসে সংবাদ দিল, মা ফিরে আসছে পতির ঘরে। কিন্তু মায়ের কৈলাসে ফিরতে যে আরও খানিকটা দেরি হবে। কারণ ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘেরা গ্রামে মায়ের আরেক রূপে পুজো হবে যে। মা দুর্গার বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই ভাণ্ডানি মায়ের বোধনে মেতে ওঠে সারা ডুয়ার্স। এই পুজো মূলত উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের পুজো। কিন্তু উত্তরের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শামিল হন এই পুজোয়। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন এলাকায় এই পুজোর আয়োজন হয়। জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের পশ্চিম নারারথলিতে প্রায় দেড়শো বছর ধরে মা ভাণ্ডানির (Bandhani Puja) আরাধনা করে চলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। আসলে ভাণ্ডানি মা দুর্গারই আরেক রূপ। দুর্গাপুজা শেষ হতেই উত্তরবঙ্গের রায়ডাক, সংকোশ ও তিস্তা পাড়ের মূলত রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ ভাণ্ডানি পুজায় মেতে ওঠেন। কোথাও বনদুর্গা কোথাও আবার মা ভাণ্ডানি রূপে পুজিত হন মা উমা। তবে মা ভাণ্ডানিপুজো (Bandhani Puja) কীভাবে শুরু হয়েছিল সেটা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কথিত আছে যে, দশমীতে উত্তরের জঙ্গল পথ ধরে কৈলাসে ফেরার সময় মা দুর্গার পথ আটকে তাঁদের হাতে পুজো নেবার আবেদন করে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ। দেবী তখন তাঁদের ভক্তি দেখে পুজো নিতে রাজি হয়ে যান এবং সেখানকার মানুষের অবস্থা দেখে তাঁদের শস্যভাণ্ডার ভরিয়ে দেন তিনি।