শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী: বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। তাই এ বছর প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গাপুজোর আয়োজনে রাখছে মহাসমারোহ। দেবীবন্দনার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। শোনা যাচ্ছে, প্রবাসের পুজোর মণ্ডপে এবার বাজবে বাংলার থিম সং। অর্থাৎ গোটা বিশ্বের কাছে বাংলার আভিজাত্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে এবারের পুজোয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে এ-বছর বেশ ধুমধাম করে পাঁচদিন দুর্গাপূজো করবে প্রবাসী বাঙালি উৎসব কমিটি।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে বাড়তি দায়িত্ব
আমেরিকার ডালাসে ১৯৯৯ সালে ‘আন্তরিক’ কমিটি দুর্গাপুজো শুরু করে তাঁদের পুজোর আয়োজনে এ বছরেও কোনও খামতি রাখছেন না উদ্যোক্তারা। ঢাকের বাদ্যি, ধূনুচিনাচ, ফাংশন, খানাপিনা বিজয়া সম্মিলনী— সবকিছুর ট্রাডিশন মেনেই হবে। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় একটাই দুর্গাপুজো করেন জাকার্তা বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন। এখানে প্রতিবছরের মতো এবছরও পশ্চিমবঙ্গের সময়, নিয়ম-রীতি মেনেই পাঁচদিন ধরে হবে পুজো। যদিও সপ্তাহান্তে পুজোর আয়োজন হবে কি না এ-বিষয়ে এখনই কিছু বলছেন না উদ্যোক্তারা। এখানে প্রতিষ্ঠিত মা দুর্গা। পাঁচদিন ধরে ভোগ বিতরণ করা হবে সেই সঙ্গে প্রতি বছরের মতো এই বছরও থাকবে ধুনুচি নাচ, সিঁদুরখেলা, বিজয়া সম্মিলনী।
আরও পড়ুন-ফের জিজ্ঞাসাবাদ
ব্রিটেনে সাধারণত উইক-এন্ডে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয় কারণ এখানে পুজো বলে কোনও ছুটি হয় না তাই সপ্তাহন্তই পুজোর শুভমূহূর্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এই পাঁচদিন পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখছে না। সকাল থেকে রাত বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে থাকছে অঢেল খাওয়াদাওয়া, ভোগের ব্যবস্থা। সন্ধেয় আলোঝলমলে হয়ে উঠবে চারপাশ।