প্রতিবেদন : মুদ্রা যোজনার (Mudra Yojana) অধীনে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সময়মতোই ব্যাঙ্কের টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সাত বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল। কোভিড মহামারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই মুদ্রা যোজনায় অনাদায়ী ঋণ বা এনপিএ ছিল সবচেয়ে কম। এই প্রকল্পে গত সাত বছরে অনাদায়ী ঋণ মাত্র ৩.৩ শতাংশ। বৃহৎ শিল্পপতিরা ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে বিদেশে পালালেও সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সময়মতোই ঋণের টাকা ফেরত দিয়ে থাকেন। মুদ্রা যোজনার পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট এই ছবি।
আরও পড়ুন-ইডির ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্র
৮ এপ্রিল ২০১৫-এ মুদ্রা যোজনা (Mudra Yojana) চালু হওয়ার পর থেকে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত সমস্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে এনপিএ বেড়ে হয়েছে ৪৬০৫৩.৩৯ কোটি টাকা। ওই সময়ের মধ্যে মুদ্রা যোজনার অধীনে মোট ১৩.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ অনাদায়ী ঋণ মাত্র ৩.৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বড় ঋণ গ্রহীতাদের এনপিএ ৫.৯৭ শতাংশ। শেষ ছয় বছরে ব্যাঙ্কিং খাতে মোট এনপিএ ২০২১-২২ সালের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। ২০২০-২১ সালে এটি ছিল ৭.৩ শতাংশ। তুলনায় ২০১৯-২০ সালে ৮.২ শতাংশ, ২০১৮-১৯ সালে ৯.১ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সালে ১১.২ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ সালে ৯.৩ শতাংশ এবং ২০১৫-১৬ সালে ৭.৫ শতাংশ।
মুদ্রা যোজনায় তিনটি বিভাগে ঋণ দেওয়া হয়। অতি ক্ষুদ্র ঋণ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে এনপিএ ২.২৫ শতাংশ। ক্ষুদ্র ঋণ ৫০,০০১ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে এনপিএ ৪.৪৯ শতাংশ। মাঝারি ঋণ ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে চলতি আর্থিক বছরে এনপিএ ছিল ২.২৯ শতাংশ৷ গত পাঁচ বছরে, ব্যাঙ্কগুলি এক লাখ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে।