শান্তনু বেরা, কাঁথি: সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস কপালকুণ্ডলার কালীমন্দিরটি রয়েছে কাঁথি ২ দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুরে। ১৮৬০ সালে বঙ্কিমচন্দ্র কাঁথি মহকুমার ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে ১০ মাসের চাকরি জীবনে এখানেই কাটানোর সময় ‘কপালকুণ্ডলা’ লেখেন। রসুলপুর নদীর তীরে সেই বিখ্যাত কালীমন্দির ও বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত বাংলো, নাট্যমঞ্চ, বিভিন্ন ফলক ও নিদর্শন আজও রয়েছে। বঙ্কিমের উপন্যাসে এই মন্দিরেই হয় নবকুমার-কপালকুণ্ডলার প্রেম।
আরও পড়ুন-সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রস্তুতি পুরুলিয়ায়
সেই ইতিহাসের পটভূমিকে ধরে রাখতে ২০০৬ সালে মন্দিরটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। কমিশন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ৪০ লক্ষ টাকায় মন্দিরটি সংস্কার করে ২০১৩ সালে। প্রবীণ বাসিন্দাদের মতে, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন কিশোরনগর গড়ের রাজা যাদবরাম রায়। কেউ কেউ বলেন, রাজা শুধু মন্দির সংস্কার করেছিলেন। এখন মন্দিরে বিগ্রহ নেই। স্থানীয়দের দাবি, সংস্কারের সময়ে মাটি খুঁড়ে পাওয়া দেবীমূর্তি শ্রমিকরা নিয়ে যায়। সেই থেকে মন্দির বিগ্রহহীন।
আরও পড়ুন-কোথাও চুনোমাছের ভোগ, কোথাও শিকলে বাঁধা দেবী প্রাচীন কালীপুজো
বহু গবেষক, পর্যটক, বিশেষত কালীপুজোর সময় এখানে আসেন। মন্দিরের কেয়ারটেকার ভূদেব জানা বলেন, ‘পর্যটকেরা সকলেই কপালকুণ্ডলা কালীমূর্তি কেমন ছিলেন, তা জানতে কৌতূহল দেখান।’ তাঁদের জন্য গ্রামবাসীরা কাছেই একটি ছোট্ট মন্দির গড়ে নাম দিয়েছেন কপালকুণ্ডলার নতুন মন্দির। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের পটভূমি দারিয়াপুর গ্রাম যেন অমূল্য ইতিহাসকে ধরে রেখেছে।