কোথাও চুনোমাছের ভোগ, কোথাও শিকলে বাঁধা দেবী প্রাচীন কালীপুজো

অন্যান্য অলঙ্কারের সঙ্গে মাকালীর পায়ে নূপুর পরাতেই হয় মঙ্গলকোটের চানক গ্রামের ২০০ বছরের পুরনো চট্টোপাধ্যায় পরিবারে।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : অন্যান্য অলঙ্কারের সঙ্গে মাকালীর পায়ে নূপুর পরাতেই হয় মঙ্গলকোটের চানক গ্রামের ২০০ বছরের পুরনো চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। নাদনঘাটের বিদ্যানগরে বাঁশদহ বিল লাগোয়া লোহার ব্রিজের ধারে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কালীপুজোয় ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ১২ রকম চুনোমাছের পদ। আবার ধাত্রীগ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ‘বুড়োমা কালী’কে শেকলে বেঁধে পুজো করা হয়। এমনই নানা বৈশিষ্ট্যের পুজো হয় কালনা-কাটোয়া ২ মহকুমায়।

আরও পড়ুন-বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে অনুপমের বিরুদ্ধে পোস্টার

পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কালীর নাম ‘চুনো-বিলে’ কালী। প্রায় ৬০ একর জুড়ে থাকা বিশাল দুই জলাশয় বাঁশদহ ও চাঁদের বিল রক্ষা ও চুনোমাছের বংশবৃদ্ধির প্রার্থনায় ২০ বছর আগে সূচনা করেন স্বপন। ভোগ হিসেবে মৎস্যজীবী পরিবারের মহিলাদের ১২ রকম চুনো মাছের পদ, কাঁকড়ার ঝোল দেন। পুজোয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে রাত জাগেন মন্ত্রী। ভোগ খান। বললেন, ‘এবার ভোগে পুঁটি, মৌরলা, ল্যাটা, শোল, চ্যাং, সোনাখড়কে প্রভৃতি মাছের পদ থাকবে।’

আরও পড়ুন-লোকসভা ভোটে কোমরবাঁধার ডাক শতাব্দীর

মঙ্গলকোটের চানক গ্রামের যজ্ঞেশ্বর চৌধুরির সূচনা করা পুজো ২০০ বছরে। পঞ্চমুণ্ডির আসনে সিদ্ধিলাভ করেন এই বংশের কালিদাস চট্টোপাধ্যায়। কালীর পায়ে নূপুর থাকায় গ্রামের কেউ নূপুর পরেন না। মধ্যরাতে ঘট এনে পুজো দেওয়া হয়। ভোগে মাছ-সহ ৫৫ রকমের পদ থাকে।

আরও পড়ুন-দেবীচৌধুরানি নিজের হাতে সূচনা করেন পুজোর

যতক্ষণ পুজো চলে, ততক্ষণ ধাত্রীগ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কালীর পায়ে শিকল বাঁধা থাকে। ‘বুড়োমা কালী’ নামে খ্যাত এই পুজোর বয়স ৪০০। একসময় ডাকাতরা পুজো চড়াতেন বলে অনেকে ‘ডাকাতে কালী’ও বলেন। পরিবারের সদস্য গৈরিক জানালেন, ‘বহুকাল আগে বলিদানের সময় মাকে দুলতে দেখা যায়। তাই পুজোর সময় শিকলে বেঁধে রাখা হয়। পুজো শেষে খুলে দেওয়া হয়।’

Latest article