সংবাদদাতা, বারাসত : করোনা বারাসত ও মধ্যমগ্রামের কালীপুজোর চিরাচরিত জৌলুসে থাবা বসিয়েছে। গতবার একেবারেই জৌলুসহীন কালীপুজো দেখেছিল আমজনতা। কিছুটা হলেও গত বারের তুলনায় এবার কালীপুজোর চাকচিক্য ফিরছে। যদিও করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কোথাও থিম, আবার কোথাও সাবেকিয়ানায় মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। বারাসতের বড় পুজো কমিটির মধ্যে প্রথম সারিতেই কেএনসি রেজিমেন্ট। ৬২তম বর্ষে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের করটিয়া জমিদার বাড়ির আদলে মাতৃমণ্ডপ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় কালীপুজোর জৌলুস এবার বেশ কিছুটা বাড়িয়েছেন উদ্যোক্তারা। তবে রাজ্য সরকার এবং আদালতের নির্দেশ মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। থাকছে চমকপ্রদ আলোকসজ্জা। বারাসতের বড় কালীপুজো কমিটিগুলোর মধ্যে থাকে সন্ধানী। এবার তাদের পুজো ৬১ বছরের। কোভিড আবহে উদ্যোক্তাদের থিম প্রতীক্ষা। গত দু-বছর ধরে করোনা নিয়ে সংক্রমণের আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গোটা বিশ্ব অতিমারির থেকে মুক্তি চাইছে।
আরও পড়ুন : প্রথম ভারতীয় ফুটবলার খেলরত্ন স্বপ্নের সফরে সুখ সুনীলের
প্রহর গুনছে কবে কোভিড ভাইরাস এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। মাতৃমূর্তির ঠিক পিছনেই থাকছে ১২ ফুটের ঘড়ি। করোনা বিদায়ের যেন প্রহর জানার ঘড়ি। আলোকসজ্জায় থাকছে চন্দননগরের আলো। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রেমা রায় বলেন রাজ্য সরকারের বেধে দেওয়া করোনার যাবতীয় বিধি মেনেই পুজো হবে। বারাসতের বিদ্রোহীর কালীপুজো এবার ৫৫ বছরে পড়ল। কাল্পনিক সাবেকিয়ানার মণ্ডপ। রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা রোধ করেছিলেন। সেই বিষয়টিই প্রতিমাসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সম্পাদক মানিক দত্ত বলেন, সরকারের নির্দেশে খোলামেলা মণ্ডপ করা-সহ পুজোর ক’টা দিন মাস্ক বিলি এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বারাসতের নবপল্লী ব্যায়াম সমিতির পুজো এবার ৭০ বছরের। দুঃখের দিন থেকে কীভাবে মানুষ আনন্দে ফিরছেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। শৈশব থেকে যৌবনে পরিণত হওয়ার আনন্দ-সহ মানুষের জীবনের অনেক আনন্দের মুহূর্ত সুনিপুণভাবে মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন উদ্যোক্তারা।