প্রতিবেদন : যোগীরাজ্যে ফের মারধর করা হল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবককে। শুধু মারধর করাই নয়, ওই যুবককে জোর করে জয় শ্রীরাম (Jai shree ram- Uttar Pradesh) বলতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এই ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তেরা ভিডিও করে রেখেছিল। সেই ভিডিওর সাহায্যেই তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই যুবকের অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। শেষ পর্যন্ত সহকারী পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানানোর পর শনিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুদের কোনও নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নেই। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে যোগীরাজ্যে এ ধরনের ঘটনা তত বাড়বে। সাহিল নামে ওই মুসলিম যুবক কাকোড় থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, ১৩ জুন তিনি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় তিনজন বাইকে চেপে এসে তাঁকে জোর করে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাঁকে মোবাইল চুরি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপর অভিযুক্তরা তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর শুরু করে। তাঁর মাথাও কামিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে জয় শ্রীরাম (Jai shree ram- Uttar Pradesh) বলতে বাধ্য করে তারা। গোটা ঘটনার ভিডিও করে অভিযুক্তেরা, যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। কোনওরকমে ওই তিন যুবকের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে থানায় আসেন সাহিল। কিন্তু কাকোড় থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। উল্টে তাঁকেই চোর বলে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- ১৫ বছরের গাড়ি বাতিল নিয়ে মানবিক সিদ্ধান্ত সরকারের