প্রতিবেদন : কেউ দফতর চালাতে ব্যর্থ হলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত, কিন্তু দফতর কেন বন্ধ থাকবে? প্রশ্ন তুলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার ঘটনাকে ‘তুঘলকি কাণ্ড’ বলে ব্যাখ্যা করে উপাচার্যের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। শুধু প্রশ্ন তুলে বা সমালোচনা করেই ক্ষান্ত নন ব্রাত্য, তিনি এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান।
বি আর আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের (B.ED University) উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের (B.ED University) সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তিনি প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে স্কুল শিক্ষা দফতরে চিঠিও পাঠান। বিকাশ ভবনে পাঠানো সেই চিঠি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, এটা কোনও পন্থা হতে পারে না। ঠিকঠাক চালাতে না পারলে তালা লাগিয়ে চলে যেতে পারেন না উপাচার্য। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা কাম্য নয়। তা বাঞ্ছনীয় নয়, উচিতও নয়। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি না। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের থেকে পদত্যাগ করা শ্রেয় ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছেন। ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা আইনি পরামর্শ নেব, কী করা যেতে পারে, তা দেখব। এ প্রসঙ্গে তিনি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণও উল্লেখ করেন। বলেন, আচার্যকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে। কিন্তু উনি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অগ্রাহ্য করেছেন। তিনি যদি সুপ্রিম কোর্টের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতেন, তাহলে এরকম অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হত না। বিশ্ববিদ্যালয়ে তালাচাবি লাগানোর মতো এরকম তুঘলকি কাণ্ড ঘটত না।
আরও পড়ুন- ভোটের আগে বেতন কমিশন নয়