তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই দিল্লি পৌঁছলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ফের তৃতীয়বার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে এই বৈঠকের এক আলাদা তাৎপর্য। এই প্রথম সংসদের কোনও মিটিং রুমে বসতে চলেছে তৃণমূল সাংসসদের বৈঠক। এতদিন সংসদে তৃণমূলের যাবতীয় বৈঠক হয়েছে নিজেদের দলীয় দফতরে। এবার অন্যান্য সর্বভারতীয় দলগুলির মতো সংসদের কোনও মিটিং রুমে বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। সূত্রের খবর, বিকেল চারটে নাগাদ ৬২ নম্বর রুমে বৈঠক হবে। এর অনুমতিও দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
আরও পড়ুন-কার্গিল দিবস স্মরণে বীর সেনাদের শ্রদ্ধা মমতার
২১ জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান শেষেই দিল্লি যান অভিষেক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু করে দেন বৈঠক। ২২ জুলাই সকালে সংসদ ভবনে তৃণমূলের ঘরে বৈঠকের পর দুপুরে দলের রণনীতি নির্ধারণ করতে ৭নম্বর মহাদেব রোডে তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে পেগাসাস নিয়ে সংসদে লাগাতার বিরোধিতা করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। একইসঙ্গে অমিত শাহর কাছে পেগাসাস নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করারও কথাও বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলীয় সাংসদদের লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-সর্বত্র নজরদারি চলছে, পেগাসাস নিয়ে জবাব চাই: ডেরেক ও’ব্রায়েন
সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী পক্ষের তরুণ প্রজন্মের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় এর কাজটা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভালো ভাবে করতে পারবেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷ কারণ, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি- তিনটি ভাষাতেই সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন অভিষেক৷ সোমবার, দিল্লি সফরে গিয়ে বিরোধী শিবিরের একাধিক বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলনেত্রী৷ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও মমতার দেখা করার কথা। সেখানেও অভিষেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকেই। ২০২১-এর নির্বাচনে যেভাবে তৃণমূল সাংসদ রাজ্যজুড়ে দলের হয়ে প্রচার করে ছিলেন, ২০২৪-এ নির্বাচনের আগেও তাঁকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সেরকমই সক্রিয় দেখা যাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।