সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : ‘কেউ সিন্ডিকেট করতে চাইলে দাঁড়িয়ে থেকে গুঁড়িয়ে দেব। শিলিগুড়ি পুরনিগমে কোনও দালালরাজ চলবে না।’ মেয়র পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন গৌতম দেব। পাশাপাশি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন কোনও দুর্নীতি রেয়াত করা হবে না— বলেন শিলিগুড়ির ভাবী মেয়র।
আরও পড়ুন-দেউচা পাচামিতে লক্ষাধিক চাকরি, জমির দ্বিগুণ দামের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এরপরই তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত জানতে পারলেই তাকে জেলে পাঠিয়ে দেব।’ পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনও এজেন্সি কাজ নিয়ে ফেলে রাখতে পারবে না। কাজ শেষ হলে কাজের গুণগত মান পরীক্ষা করে সঠিক সময়ে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কাজের গুণগত মান যদি খারাপ হয় তা হলে সেই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। সোমবার মেয়র ও চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন জমা করলেন গৌতম দেব ও প্রতুল চক্রবর্তী। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা করেন। আজ মঙ্গলবার বোর্ড গঠন হবে শিলিগুড়ির। সকালে পুর কর্পোরেশনে মেয়র ও চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন জেলাশাসক এস পূর্ণবালাম।
আরও পড়ুন-পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাধন পান্ডের শেষকৃত্য, নিমতলা মহাশ্মশানে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক
তার আগেই বৈঠক করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন গৌতম দেব। এই বৈঠকেই উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে কাউন্সিলরদের কাছে উন্নয়নের মানচিত্র তুলে ধরেন তিনি। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর কর্পোরেশনের কনফারেন্স হলে সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলর নির্বাচন করেন গৌতম দেব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী। বৈঠকের পর এদিন সরাসরি মেয়র পারিষদ ও ডেপুটি মেয়র উপস্থিত গৌতম দে কিছু না বললেও তিনি বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করব। আগে ৭ মার্চ প্রশাসনিক পদে চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন মেয়র হচ্ছি। অনেক কাজ বাকি আছে সেসব করতে হবে। টক টু মেয়র অর্থাৎ ফোন করে সমস্যা সমাধান পর্ব চালু থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কাউন্সিলের সংখ্যা অনেক বেশি তাই তাঁদের সাহায্য করতেই আমি এসেছি।’