সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : মেলা শুরুর আগেই এবার ভিড়ের রেকর্ড গঙ্গাসাগরে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রায় দশ লক্ষ পুণ্যার্থী সাগরে এসেছেন বলে মত সুন্দরবন পুলিশের। প্রতিদিন হাজারে হাজারে পুণ্যার্থী দলবেঁধে সাগরে আসছেন। মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে ১০ জানু্য়ারি। কিন্তু তার আগে থেকেই লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়ায় পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। লট নম্বর আটে ১ থেকে ৪ নম্বর জেটি থেকে পুণ্যার্থীরা পারাপার করছেন। সেখানে ঢোকার মুখে বাসস্টান্ডে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-পুজোস্থলেই মহাকাল প্রাণ নিলেন ভক্তের
সর্বক্ষণ কাজ করেছেন পুলিশকর্মীরা। এবার মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ ভালো হওয়ায় সারাক্ষণ ভেসেল চলাচল করছে। ফলে পুণ্যার্থীদের ভোগান্তি কমেছে। লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া রঙিন আলোকমালায় সেজে উঠেছে। কচুবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ডেও ভিড়। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও প্রতিদিন দলে দলে গঙ্গাসাগরে আসছেন পুণ্যলাভের আশায়। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জওয়ানদের সাগরে আনা হচ্ছে। নদীতে পৃথক ভেসেলও রাখা আছে। কপিলমুনি আশ্রম চত্বর জুড়ে এখন ছয়লাপ জওয়ানে। অনেকের সঙ্গে পরিবারের লোকজনও আছেন। সাগরে ডুব দেওয়ার পর কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। অনেকে আবার নাগা সন্ন্যাসীর আশীর্বাদও নিচ্ছেন। পুরো মেলামাঠ জুড়ে তৈরি পরিকাঠামো। যাত্রিনিবাসগুলি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-তুকতাকে ক্ষতি সন্দেহে গণধোলাই দুই মহিলাকে
তবে এবার বড় বড় হ্যাঙার তৈরি করা হয়েছে। শনিবার সুদৃশ্য বাসে চেপে মেলাতে পৌঁছল তিন কোম্পানি এনডিআরএফ টিম। আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির বিপর্যয় মোকাবিলায়। কচুবেড়িয়া, চেমাগুড়ি ও মেলামাঠে বিশেষ দায়িত্বে থাকবে এই তিন কোম্পানি এনডিআরএফ। রবিবার থেকে পুলিশ ও আধিকারিকের সংখ্যা বাড়বে বলে জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানিয়েছেন।