সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার : রায়দিঘির কঙ্কণদিঘি পঞ্চায়েতের মণিনদীর কংক্রিট বাঁধের কাজ শুরু করল প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আয়লায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল (Diamond Harbour) রায়দিঘির মণিনদীর একাধিক বাঁধ। এরপর একের পর এক ঝড় এসে আরও ভঙ্গুর করে দেয় বাঁধগুলি। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন দাবি করছিলেন, এই বাঁধ সারানোর জন্য। বাঁধের কাজ শুরু হল রায়দিঘির পূর্বজটার তারক মণ্ডলের ঘেরিতে। ঘূর্ণিঝড় আয়লায় বাঁধের ৭০ শতাংশই ভেঙে যায়। তারপর রিং বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি ছিল কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করার। এরপর বুলবুলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁধ। ২০২০ সালে সেচ দফতরের উদ্যোগে শুরু হয় স্থায়ী কংক্রিট বাঁধ নির্মাণের কাজ। কিন্তু জমি জটে আটকে যায় সেই কাজ। এরপর ইয়াসে বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে গ্রামে। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে অসমাপ্ত জায়গায় এরপর রিংবাঁধ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রিংবাঁধ দেওয়া শেষ হলে মূল কংক্রিট বাঁধের ৭৮০ মিটার কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। নতুন করে আবারও ১ কিমি বাঁধকে কংক্রিটের করে গড়ে তোলা হবে। সম্পূর্ণ বাঁধ নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৯ কোটি টাকা। বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন (Diamond Harbour) রায়দিঘির বিধায়ক ড. অলক জলদাতা, মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও তাপস দাস, কঙ্কণদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পূর্ণিমা কর ও রায়দিঘির সেচ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবীপ্রসাদ বর্ধন। এই বাঁধনির্মাণের মূল সমস্যা জমি, তা অনেকটাই মিটেছে বলে জানান বিধায়ক। ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ জন কৃষক তাঁদের জমির দাম পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায় ২ কিমি বাঁধের কাজ নতুন করে শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।