প্রতিবেদন : সুশাসন-নারী সুরক্ষা-আইনশৃঙ্খলা কীভাবে ঠিক রাখতে হয় দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শিখে যান মোদি-শাহ। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্ট তুলে ধরে বিজেপিকে তুলোধোনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে রীতিমতো এনসিআরবির তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী শশী পাঁজা ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল বলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের পিছনে না লেগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগে দিল্লি সামলান। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা-নারী সুরক্ষা-ধর্ষণে সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দিল্লি। আর সবথেকে ভাল অবস্থায় রয়েছে কলকাতা।
২০১৮ এবং ২০২০-২১ সালে সবথেকে নিরাপদ শহর হল কলকাতা।
আরও পড়ুন-সরকারি আনুকূল্যে সুদিন এসেছে ঢাকিদের
একথা এনসিআরবি তাদের তথ্যে জানিয়েছে। একইসঙ্গে তাদের দেওয়া তথ্যই বলছে, মহিলাদের জন্য দিল্লি নিরাপদ শহর নয়। এরপরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য। মন্তব্য শশী পাঁজার। কারণ দিল্লির আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে। কুণাল ঘোষ বলেন, এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে কলকাতায় খুনের সংখ্যা ৪৫, দিল্লিতে ৪৫৪। নারী নির্যাতনের সংখ্যা কলকাতায় ১২৭, দিল্লিতে ১০২৩টি। ধর্ষণের ঘটনা কলকাতায় ১১, দিল্লিতে ১২২৬টি। ডাকাতি কলকাতায় ৩, দিল্লিতে ২৫টি। গুজরাতে দিনে ৫টা নারী নির্যাতন হয়। প্রতিহিংসার রাজনীতি না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সুশাসনের পাঠ নিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তীব্র কটাক্ষ কুণালের। একই কথা প্রধানমন্ত্রীর জন্যও প্রযোজ্য, সাফ কথা কুণালের। শশী পাঁজার বক্তব্য, বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নারী নির্যাতন সবথেকে বেশি।
আরও পড়ুন-মেনকা গম্ভীরকেও সমন, রক্ষাকবচ হাইকোর্টের, অভিষেক আরও আক্রমণাত্মক
‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৪৬ লক্ষর বেশি বাড়িতে জল সংযোগ পৌঁছেছে। বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ায় রাজ্য একাধিকবার দেশে শীর্ষ স্থান পেয়েছে। পারফরম্যান্সে খুশি হয়ে কেন্দ্র এই প্রকল্পে রাজ্যকে সম্প্রতি ১০০০ কোটি টাকাও দিয়েছে। ফের রাজ্যের জলস্বপ্ন প্রকল্প প্রশংসিত হল। মঙ্গলবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আধিকারিকরাও। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রের যুগ্মসচিব পর্যায়ের এক আধিকারিকও। তিনি রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানান, বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহে ধারাবাহিকভাবে ভাল কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।