প্রতিবেদন : ভোটমুখী বাংলার মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক। গরদ, করিয়াল, টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার জিআই ট্যাগ পেল বাংলার বিশ্বখ্যাত মসলিন (Muslin- GI)। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই জিআই কর্তৃপক্ষের তরফে এই সুখবর দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এর ফলে দীর্ঘ পাঁচ বছরের লড়াই জিতল বাংলার সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মসলিন তৈরি হলেও সূক্ষ্মতার জন্য বিখ্যাত বাংলার মসলিন। বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী তাঁত ও হস্তশিল্পের উৎকর্ষের অন্যতম নিদর্শন এই মসলিন শাড়ি। একটা সময় রাজা মহারাজাদের অত্যন্ত পছন্দের ছিল এই মসলিন। তবে ইংরেজরা দেশের শাসনক্ষমতা দখলের পর ধীরে ধীরে মসলিন বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে। শোনা যায়, ইংল্যান্ডে তৈরি কৃত্রিম রেশমের শাড়ির বাজার তৈরি করতে বাংলার মসলিন শিল্পকে গায়ের জোরে বন্ধ করার জন্য নানা পন্থা নেয় ব্রিটিশরা। তবে স্বাধীনতার পর ফের ঘুরে দাঁড়ায় মসলিন শিল্প। বিভিন্ন সময় মসলিনের উন্নয়নের জন্য সরকারের তরফের বিবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই বাংলার মসলিন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- রুখতেই হবে বেআইনি নির্মাণ, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মেয়র
অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার মসলিনের (Muslin- GI) পার্থক্যও রয়েছে বিস্তর। অন্যান্য রাজ্যের মসলিন যেখানে মাত্র ১৫০ কাউন্টের, সেখানে বাংলার মসলিনের অধিকাংশই ৩০০ থেকে ৫০০ কাউন্টের। মসলিনের জিআই তকমার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের তরফে ২০১৯ সালে বাংলার মসলিনের জিআই স্বত্বের জন্য আবেদন জানানো হয়। অবশেষে এল সাফল্য। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতরের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রের কাছ থেকে মিলল জিআই স্বীকৃতি।