প্রতিবেদন : নবমীর সকালেও বৃষ্টিতে ভিজল শহর কলকাতা-সহ প্রায় গোটা বাংলাই। তবে আশার কথা, বঙ্গোপসাগরের জোড়া ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে সরে যাওয়ায় রাজ্যের আকাশ থেকে দুর্যোগের সম্ভাবনা কমছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, নবমীতে বৃষ্টি হলেও বুধবার বা দশমী থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ কমবে। শহর কলকাতায় নবমীর সকালে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও দশমী থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। শহরের আকাশ মেঘলা থাকবে।
আরও পড়ুন-লন্ডন ম্যারাথনে মৃত্যু প্রতিযোগীর
সকালের দিকে রোদ ও ভ্যাপসা গরম চলবে। দশমীর পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও কম। উল্টোদিকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখার প্রভাবে বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গজুড়ে বৃষ্টি বাড়বে। উত্তরের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া চলবে আরও কয়েকদিন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে নবমীর সকালেও ভিজল কলকাতা। তবে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। উত্তরে জলপাইগুড়ি, ধুপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে জল জমে গিয়েছে ধুপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী জাতীয় সড়কে। ডুয়ার্সের আকাশও বেশির ভাগ সময় ছিল মেঘে ঢাকা। রায়গঞ্জ-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে।