প্রতিবেদন : খেলাধুলোর আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন হুগলির দুই প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়। হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শ্রীজিৎ মজুমদার ব্রাজিলে হতে চলা আগামী মূক ও বধির অলিম্পিকের টেবল টেনিসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। শ্রীজিতের সঙ্গে ব্রাজিল যাচ্ছেন উত্তরপাড়ার (Uttarpara) ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী অভীষা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টেবল টেনিস ব্যাট হাতে ব্রাজিলের মাটিতে দেখা যাবে তাঁকেও। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাইয়ের ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স-এর মূক ও বধির অলিম্পিকের ওপেন ট্রায়ালে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে ব্রাজিলে যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করে নেন বাংলার শ্রীজিৎ। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি আইটি সংস্থায় কর্মরত শ্রীজিৎ। চাকরির পাশাপাশি টেবল টেনিস খেলাও চালিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। ক্লাস নাইনে পড়াকালীন বাবাকে হারান। তারপর ছেলে শ্রীজিৎকে নিয়ে শুরু হয় মায়ের লড়াই। শ্রীজিতের মা সুজাতা মজুমদার বলছিলেন, প্রতি পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, কখনও পড়াশোনা, কখনও বা খেলাধুলার ক্ষেত্রে আবার কখনও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শ্রীজিৎকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে কোনওরকম সাহায্য না পাওয়ার ক্ষোভ থাকলেও তিনি নিশ্চিত শ্রীজিৎ পদক আনবেন এবং দেশের মুখ উজ্বল করবেন। ৫ বছর বয়সে প্রথমে পার্থপ্রতিম দত্ত, তারপর প্রদীপ সামন্ত, অভিজিৎ রায়চৌধুরী এবং আশিস ধরের প্রশিক্ষণেই আজ শ্রীজিতের এই সাফল্য। এর আগে রাজ্য ও জাতীয়স্তরেও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন শ্রীজিৎ। শ্রীজিতের পাশাপাশি উত্তরপাড়ার (Uttarpara) অভীষাও টেবল টেনিস খেলার সঙ্গেই এবার উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী৷ ব্রাজিলে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনিও। পড়াশোনা ও টেবল টেনিস সমানভাবে চালিয়ে গিয়েছেন। প্রতি পদে পড়তে হয়েছে বাধার মুখে। কিন্তু থামানো যায়নি অভীষাকে। এই দুয়ের পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও দক্ষ অভীষা। তাঁদের মেয়ে এবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন, এমনই ভাবনায় এখন ডুবে অভীষার গর্বিত বাবা-মা।