প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা থেকে শুরু করে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন। সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা এলাকাকে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতার আলিপুর বডিগার্ডস লাইনে রাজ্যের আইপিএস আধিকারিকদের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-যমুনাতে জালে ডলফিন, রান্না করে খাওয়ায় মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তিনি এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে বলেন। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক মনোজ মালব্যকে ভাঙড় এলাকাকে কলকাতা পুলিশের আলাদা ডিভিশন হিসাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও তিনি নির্দেশ দেন। বর্তমানে এই এলাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলার আওতাধীন। তবে যেভাবে সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় ভাঙড় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে এলে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন-উধাও চিনা বিদেশমন্ত্রী বরখাস্ত করলেন শি
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই ভয়ঙ্কর খুন, সন্ত্রাস, মৃত্যুর, ভয়াবহ চিত্র দেখেছে গোটা বাংলা। যা নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন ছিল রাজ্যের সব ক’টি রাজনৈতিক দলই। ইতিমধ্যেই ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। এ ছাড়া এর পূর্বে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এবার তা রুখতে ভাঙড় ও সন্ত্রাস-কবলিত ভাঙড়-সংলগ্ন এলাকাগুলিকে নিয়ে কলকাতা পুলিস কমিশনারকে একটি ডিভিশন গড়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-অধ্যবসায়ের জোরে ভিক্ষুক থেকে সফল মাছ-ব্যবসায়ী
সম্প্রতিকালে ভাঙড়কে শান্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন। পাশাপাশি ভাঙড় ও ক্যানিংয়ের বিধায়ক অর্থাৎ নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লা দুজন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, ভাঙড়ের শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপে ভাঙড় কতটা শান্তিপূর্ণ হবে সেটা কেবল সময়ের অপেক্ষা। যদিও এ-বিষয়ে কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীতকুমার গোয়েল জানান, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু এখনও ওই ডিভিশনের কী নাম হবে বা অন্য কিছু বৃত্তান্ত নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ-সব কিছু নিয়ে শীঘ্রই বৈঠকে আলোচনার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।