প্রতিবেদন : ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৩ লক্ষ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছিলেন আপনারা৷ কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভায় এই ব্যবধান বাড়িয়ে ৪ লক্ষ করতে হবে৷ সোমবার সরিষার হাইস্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে ডায়মন্ড হারবারবাসীর কাছে এই আবেদন রাখলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, ২০১৪-য় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে৷ কিন্তু আপনারা ডায়মন্ড হারবারবাসী যেভাবে আমাকে আশীর্বাদ করে ভালবেসে পরপর নির্বাচিত করেছেন, সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন, তাতে আমিও চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব উন্নয়ন করার৷ অভিষেকের সংযোজন, সাংসদ হওয়ার পর শুধু রাস্তার জন্য খরচ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা৷ ১৪০০ কোটি টাকায় ফলতায় জলপ্রকল্প আগামী ছ’মাসে শেষ হবে৷ সকলকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সহযোগিতায় কোভিডের কঠিন সময়ে এখানে বিশেষ ড্রাইভ দিয়েছি৷ পজিটিভ রেট কমিয়েছি৷ কোভিডের সময় ২১টি কমিউনিটি কিচেন করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি৷ এ ছাড়াও গোটা ডায়মন্ড হারবার জুড়ে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে যা রিপোর্ট কার্ড হিসেবে প্রকাশ করেছি বই আকারে৷
আরও পড়ুন-ইজরায়েলের যুদ্ধে নিহত ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী
বাংলার বকেয়া আন্দোলনের কথা তুলে ধরে অভিষেক বলেন, গত ১০-১৫ দিন ধরে লাগাতার আমরা রাস্তায় ছিলাম৷ বাংলার মানুষের হক আদায়ের জন্য দিল্লি থেকে কলকাতায় আন্দোলন হয়েছে৷ দিল্লির কৃষিভবন থেকে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে বের করে দিয়েছে৷ কলকাতায় রাজভবনের সামনে ধরনা দিয়েছি তারপরে রাজ্যপালের সময় পেয়ে আমাদের দাবি জানিয়েছে৷ এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, এগুলো তো শুধু ট্রেলর ছিল, পুরো সিনেমা এখনও বাকি আছে৷ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সদর্থক পদক্ষেপ না পেলে ১ নভেম্বর থেকে আমরা গোটা সিনেমা দেখাব৷
আরও পড়ুন-সমালোচকদের কণ্ঠরোধ লক্ষ্য, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ নিয়েও এবার আইন করতে চায় মোদি সরকার
সরিষার পর মশাট খাজেরপোলেও সভা করেন অভিষেক। সেখানেও তিনি বলেন, আপনারা পাশে থাকুন। মানুষের অধীকারের যে লড়াই আমরা লড়ছি, তা আমরা একা বুঝে নেব। ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার ব্যবস্থা ৬ মাসের মধ্যে করবই। হয় দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব নয়তো বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের যেভাবে ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেয়, সেই সরকারই ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আপনাদের দেবে। যা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই টাকা ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে। কথা দিলাম। বাংলার মানুষকে ভাতে মরতে দেব না।
আরও পড়ুন-গাজায় মৃতদেহের পাহাড়, আইসক্রিম ট্রাকই এখন হয়ে উঠেছে চলমান মর্গ
এদিন, ডায়মন্ড হাবারের মানুষের জন্য পুজোর উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক৷ সরিষা হাইস্কুলের মাঠে উপচে পড়া ভিড় দেখে তিনি বলেন, এখানে এত মানুষের ঢল নেমেছে যা দেখে আমি অভিভূত৷ এরপরই তিনি ঘোষণা করেন, আগামী বছর থেকে পুজো উপহার ডায়মন্ড হারবারবাসীর দরজায় পৌঁছে দেওয়া হবে৷ অভিষেকের কথায়, এত মানুষ কষ্ট করে এসেছেন, ১৫-২০ হাজার মানুষ এই মাঠে রয়েছেন, বাইরেও হাজারে হাজারে মানুষ৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী বছর আমার প্রতিনিধিরা আপনাদের বাড়ির দোরগোড়ায় পুজো উপহার পৌঁছে দেবে৷