প্রতিবেদন : ইজরায়েলে হামাস-হামলার প্রত্যাঘাতে গাজাকে কার্যত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ২৪ দিন ধরে চলতে থাকা অসম যুদ্ধে গাজায় মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের। এরমধ্যে রয়েছে অসংখ্য শিশু-নারী-বৃদ্ধ। গাজায় এই বেলাগাম হামলা চালানোয় বিশ্বে সমালোচিত ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এবার ইজরায়েলকেও রাশ টানতে বলতে বাধ্য হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রবিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে তিনি জানান, আত্মরক্ষা করতে হলেও আমজনতাকে বাঁচিয়েই সেই পদক্ষেপ করা দরকার।
আরও পড়ুন-চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট
গাজায় ব্যাপক বিমানহানার পাশাপাশি ভূখণ্ডে ঢুকেও অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইতিমধ্যেই সেখানে আট হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গাজাকে মানবিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋষি সুনাক, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতো একাধিক দেশের প্রধানরা। গাজায় খাবার, ওষুধের মতো নানা সামগ্রীও পাঠাতে শুরু করেছে ভারত-সহ বেশ কিছু দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে বন্ধুরাষ্ট্র ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানেই বাইডেন সাফ বলেন, গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে। সেই দায়িত্ব নিতে হবে ইজরায়েলকেই। হামাসের হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার ইজরায়েলের অবশ্যই আছে। কিন্তু মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই সেই পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন-বঞ্চনায় গর্জে উঠল তৃণমূল
যদিও গাজার উপর প্রাণঘাতী হামলায় এখনও কোনও খামতি রাখছে না ইজরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার ধাক্কা কাটিয়ে নির্বিচারে আক্রমণ শানাচ্ছে প্যালেস্টাইনে। সম্প্রতি এক ভিডিও প্রকাশ করে ইজরায়েল দাবি করেছে, গাজার শিফা হাসপাতালে ঘাঁটি তৈরি করেছে হামাস। আর এই হাসপাতালে হামাস ঘাঁটির খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ এই হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান জানিয়েছেন, ইজরায়েলের উচিত আগে থেকেই গাজার হামাস জঙ্গিদের থেকে সাধারণ মানুষকে আলাদা করে ফেলা। হামাসের অপকর্মের জন্য নিরীহ মানুষ মারা সমাধান হতে পারে না।