প্রতিবেদন : ৪১ বছর পেরিয়েও কেন হল না শাস্তি, প্রশ্ন আনন্দমার্গের। ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল। সিপিএমের হার্মাদদের নৃশংস এক হত্যালীলার সাক্ষী হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার বিজন সেতু (Bijon Setu Massacre)। সেদিন নারকীয়ভাবে আনন্দমার্গ প্রচার সংঘের ১৬ জন সন্ন্যাসী এবং ১ জন সন্ন্যাসিনীকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হয়। ৪১ বছর পেরিয়ে মানুষ এখনও ভুলতে পারেনি ৩০ এপ্রিলের সেই অভিশপ্ত স্মৃতি। সেই হত্যাকাণ্ডের ৪১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এদিনও বিজন সেতুর উপরই শ্রদ্ধায়-স্মরণে পালিত হল দধীচি দিবস। আনদমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতানন্দ অবধূত সেদিনের স্মৃতি উসকে দিয়ে বলেন, ১৯৮২ সালের এই দিনে বিজন সেতু (Bijon Setu Massacre) ও বন্ডেল গেটে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ১৬ জন সন্ন্যাসী এবং ১ জন সন্ন্যাসিনীকে হত্যা করেছিল সিপিএমের হার্মাদরা। স্বাধীন ভারতে এমন ঘটনার উদাহরণ খুব বেশি নেই। যা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। সিপিএমের ঘাতক বাহিনীর মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধের ৪১ বছর পূর্ণ হল। প্রতিবাবের মতো এদিনও সপ্তদশ দধীচির স্মৃতির উদ্দেশ্যে দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতু পর্যন্ত মৌনমিছিল করেন সংঘের সদস্যরা। মিছিলে ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও সংঘের কয়েকশো অনুগামী যোগদান করেন। প্রভাত সংগীত, বাবানামা কেবলম কীর্তন ও সমবেত ধ্যানের মধ্যে দিয়ে এদিন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিজন সেতুর উপরে ১৭ জন ‘দধীচি’র ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। আনন্দ মার্গের সন্ন্যাসী ও সমাজের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হার্মাদদের সেদিনের নৃংশসতার কথা আরও একবার তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রকে জবাব লশকরের