প্রতিবেদন : রাজ্যে শিল্পায়নের পথ প্রশস্ত করতে শিল্পসংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। এজন্য রাজ্য বিধানসভায় ভূমি সংস্কার আইনের একটি সংশোধনী আনা হয় সোমবার। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান শিল্পতালুক, ফিনান্সিয়াল হাব, ফুড পার্ক, বায়োটেক পার্ক, লজিস্টিক হাব বা টাউনশিপ গড়তে চাইলে রাজ্য সরকার বা সরকারের অধীনস্থ কোনও উন্নয়ন সংস্হার মালিকানাধীন সিলিং বহির্ভূত খাসজমি নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে পুরোপুরি মালিকানায় নিতে পারবে।
আরও পড়ুন-ভাষা দিবসে ইংরেজি! ধুয়ে দিলেন ব্রাত্য
বর্তমানে রাজ্যের একটি সংস্থা বা ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২৪.২ একর জমির মালিকানা রাখতে পারে। এটাই জমির সর্বোচ্চ সিলিং। কোনও শিল্প সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এর বেশি জমি রাখলে তা ভূমি সংস্কার আইনের ১৪ ওয়াই ধারায় পড়ে যাবে। এই আইনে বলা আছে, সিলিং বহির্ভূত জমি রাজ্য সরকার খাস করে দেবে। ওই খাস জমি সরকারের কাছ থেকেই আবার ওই সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান লিজের ভিত্তিতে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। সংস্থা লিজ না নিলে সরকার তা খাস জমি হিসাবেই ফেলে রাখতে পারবে। অন্য কোনও সংস্থাকে তার পাট্টা দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার ইতিহাস চর্চায় ব্রাত্য বসু, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
বিলের উপর জবাবি ভাষণে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, নতুন আইনে জমির সিলিং সংক্রান্ত ১৪ ওয়াই আইন কার্যকর হবে না। লিজের কত ফি হবে তা ঠিক করে দেবে সরকার বা সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সংস্থা। আইনগত ভাবে জমির মালিকানা পেতে আবেদন জানাতে হবে সংস্হা বা প্রতিষ্ঠানকে। এর ফলে বিনিয়োগ ও রাজস্ব বাড়বে বলে মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা। এছাড়াও এই জমি আর্থিক সংস্হার কাছে বন্ধক রেখে আর্থিক সহায়তা পেতে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।