প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের ডিজেল কেনার ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতি সামনে এল। কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। ডিজেল না কিনেই টাকা দেওয়া, বাজার দামের থেকেও অতিরিক্ত দাম দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থা থেকে হাইস্পিড ডিজেল কেনার জন্য অতিরিক্ত ২৪৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছে ভিজিল্যান্স দফতর। ইন্ডিয়ান অয়েল এবং ভারত পেট্রোলিয়াম থেকে এই তেল কেনা হয়েছে। সূত্রের খবর, ভিজিল্যান্স দফতর তেল কেনার রিপোর্ট অডিট করতে গিয়েই এই দুর্নীতির বিষয়টি জানতে পারে।
আরও পড়ুন-বিতর্কে তিহার
ভিজিল্যান্স দফতর ইতিমধ্যেই দুই তেল সংস্থাকে দেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ভিজিল্যান্স বিভাগ অন্যান্য জোনগুলিকেও এ ধরনের অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে বলেছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই সংস্থা থেকে হাইস্পিড ডিজেল কেনে নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেল। সেই সময়েই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভিজিল্যান্স দফতর। ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডকে এই দুর্নীতি সম্পর্কে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের এই ব্যাপক দুর্নীতি সামনে আসার পরেই অন্যান্য বিভাগেও দুর্নীতির সিদুঁরে মেঘ দেখছে ভিজিল্যান্স দফতর। এ ধরনের দুর্নীতি রোধ করতে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিয়েছে ভিজিল্যান্স দফতর।
আরও পড়ুন-২৫ কোটি না দিলেই মাদক মামলা, আরিয়ানকে হুমকি, সিবিআই এফআইআরে অভিযুক্ত ওয়াংখেড়ে
ঘটনার জেরে দক্ষিণাত্য রেল জানিয়েছে, তাদের তরফে তেল সংস্থাগুলিকে দেওয়া টাকার অভ্যন্তরীণ অডিট করা হবে। অসমের তিনসুকিয়া, লামডিং ও রঙ্গিয়া, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং বিহারের কাটিয়ার ডিভিশনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেল। এই ৫টি ডিভিশনের জন্য নিয়মিত বিপুল পরিমাণ হাইস্পিড ডিজেল কেনা হয়। রেলবোর্ডকে পাঠানো চিঠিতে ভিজিল্যান্স দফতর জানিয়েছে, তেল সংস্থাগুলির দেওয়া রশিদ থেকে স্পষ্ট, যে দামে নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলকে তেল বিক্রি করা হয়েছে, তা স্থানীয় পেট্রোল পাম্পের থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। তাই রেলবোর্ডের উচিত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা।