সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : টানা কয়েকদিন আমরণ অনশনে থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। দলীয় কর্মীরা রবিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করলেন। এই মঞ্চেই হঠাৎ হাজির হয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হল না। বরং ফের মুখ পুড়ল তাদের। পাহাড়ে সমর্থন হারিয়ে বিজেপি খড়কুটোর মতো মোর্চাকে ধরে বাঁচতে চাইছে। মুখের ওপর মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং (Bimal Gurung) জানিয়ে দেন তিনি তৃণমূলেই আছেন। সমর্থন হারিয়ে একপ্রকার একঘরে হয়ে পড়েছে বিজেপি। জিএনএলএফ ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দল পাশে নেই তাদের।
জিটিএ নির্বাচনের মাঝেই পদ্ম শিবিরের কয়েকজন সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রী মিলে হঠাৎ করেই হাজির হয়ে ছিলেন বিমল গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা সহ অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা ও কয়েকজন বিধায়ক মিলে নানা আশ্বাস দিয়ে অনশন ভঙ্গ করার প্রস্তাব দেন মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুংকে। যেভাবেই হোক পাহাড়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির এমন চালে চিঁড়ে ভিজল না। পদ্ম শিবিরের প্রতিনিধি দল চলে যাওয়ার পরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের সভাপতি বিমল গুরুং বিজেপির কথায় অনশন ভঙ্গ করবেন না।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হল প্রার্থীতালিকা, জিটিএ ভোটে-লক্ষ্য তৃণমূলের ১০-এ ১০
যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে কথা বলার পরে বলেন, বিমল গুরুং তাঁর বন্ধু। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই ছুটে এসেছেন তিনি। বিমল গুরুং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন তাই তাঁকে অনশন প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছি। এমনকী জন বলেন, যা সমস্যা রয়েছে তা টেবিলে বসে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার যে বিমল গুরুংয়ের পাশে আছে তা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু রাজু বিস্ত ও জন বারলাদের প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিলেন মোর্চা সভাপতি। এক কথায়, ব্যর্থ হয়ে ফিরে এল বিজেপি।