স্মৃতা খাওয়াস, দার্জিলিং: পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত। গতকাল রাতের একদা দুই যুযুধান নেতা বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংয়ের বৈঠক থেকে এটা পরিষ্কার, পাহাড়ের উন্নয়নে এবার একজোট হতে চলেছেন দুই নেতা। পাত্তাবাং অতিথি নিবাসে ওঁরা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বিনয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঘণ্টাখানেক পাহাড়ের মানুষদের জন্য কীভাবে কাজ করা যায়, কীভাবে উন্নয়ন ঘটানো যায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ কিছুদিন আগেও দুজনের সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলে। হঠাৎ কী হল দুজনে একসঙ্গে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিনয় জানান, ‘রাজনীতিতে সবই সম্ভব। কেউই স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী মিত্র নয়। আমাদের দেখতে হবে ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে। আগামী দিনে পাহাড়ের মানুষদের জন্য কী করা যায়, উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, সমস্যার সমধান কীভাবে করা যায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন : উপনির্বাচন নিয়ে সব দলের মত চাইল নির্বাচন কমিশন
বৈঠক নিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং বলেন, ‘প্রায় চার বছর পর আমাদের মধ্য আবার কথা হল। পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে কথা হলেও এটাকে রাজনৈতিক বৈঠক না বলে পারিবারিক সাক্ষাৎকার বলা চলে। রাজনীতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি বাড়ি ফিরে আসার পরে অনেকেই দেখা করতে আসছেন। বিনয়ও এসেছিল।’ বিজেপি সম্পর্কে পাহাড়ের মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। বিমলেরও।
আরও পড়ুন : ‘নতুন পাল্টি খেয়েছে তো, তাই বেশি লাফালাফি করছে’ ফিরহাদের নিশানায় শুভেন্দু
ফলে বিমল-বিনয় মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে যে শরিক হতে চলেছেন, তার ইঙ্গিতই মিলছে এই বৈঠকে।
বিমল-বিনয় বৈঠক নিয়ে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, ‘এটা দুই নেতার সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেত্ৃত্বে পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। পাহাড় এখন হাসছে। পর্যটকরাও ফিরছেন। আমরা চাই পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। পাহাড় অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হোক।’