দেবর্ষি মজুমদার, মঙ্গলডিহি: রাস মধুর রসের উৎসব। গোপীদের দেহবোধের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়ার এবং মদনদেবের দর্পহরণের উৎসব। সে কারণেই রাসে মদনমোহন রূপেই পূজিত শ্রীকৃষ্ণ। বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের পাঁড়ুই থানার মঙ্গলডিহিতে রাস হয়ে ওঠে সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্র। সেখানে উপস্থিত ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুর হক বলেন, ‘‘এই উৎসবে হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একাত্ম বোধ করেন। কোনও ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই এক।’’ মঙ্গলডিহিতে মহাপ্রভুর সমসাময়িক তথা ৫৩৬ বছরের পুরনো এই উৎসব। জেলার বাইরে থেকেও মানুষ আসেন শামিল হতে। রাসমঞ্চের পাশে প্রায় আড়াইশো দোকান বসে।
আরও পড়ুন-পেঁয়াজের দামে হাফ সেঞ্চুরি
মঙ্গলডিহি গ্রামে দুই ঠাকুরবাড়িতেই হয় উৎসব। বড় ও ছোট বাড়ি। ছোট বাড়ির দীপ্তেন্দ্রনারায়ণ ঠাকুর জানান, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে উৎসব। দিনের বিভিন্ন সময়ে পুজো, দুপুরে অন্নভোগ দেওয়া হয় মদনগোপাল ও দিনন্ত রায় বিগ্রহকে। সন্ধে আটটায় ঢাক, ফুলোট সহযোগে বেরোবে শোভাযাত্রা। সঙ্গে থাকেন রাধারানি। তারপর মূল মন্দির থেকে ২০০ মিটার দূরে রাসমঞ্চে অধিষ্ঠিত হবে বিগ্রহ। সেখানে হবে আধ ঘণ্টার বনভোজন। হবে বাজি পোড়ানো। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিগ্রহ ফিরবে মূল মন্দিরে। ছোট বাড়ির রাস বিগ্রহ মূল মন্দিরে ফিরতেই বড় বাড়ির শ্রীকৃষ্ণ, শ্যামচাঁদ ও বলরাম বিগ্রহ শোভাযাত্রা সহ বেরিয়ে ৩০০ কিমি দূরে রাসমঞ্চে যায়।