সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : নতুন বছরে জাঁকিয়ে শীত পড়তেই আহিরণ বিলে দেখা মিলল সাইবেরিয়া দীপপুঞ্জ ও রাশিয়ার রেড ক্রেস্টড পোচার্ড-সহ নানা প্রজাতির রঙবেরঙের পাখপাখালির। সুতির ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে গা ঘেঁষা ৬৪ একর জমির ওপর প্রায় ২ কিমি দীর্ঘ আহিরণ পাখিরালয়ের জলাশয়টি সম্প্রতি সংস্কারের উদ্যোগ নেন সুতি ১ ব্লকের বিডিও এইচএম রিয়াজুল হক। পাখি দেখতে ভিড় জমছে পক্ষিপ্রেমীদের। ২০০৮ সালে বন দফতরের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, এই জলাশয়ে ৫৭ প্রজাতির ২১০০ পরিযায়ী আসে মরশুমে।
আরও পড়ুন-৬ লক্ষ শিশু-কিশোরের হাম-রুবেলা টিকাকরণ
দেখা মেলে পিনটিল, লেসার হুইশলিং টিলের পাশাপাশি উডডাক, মুরহেন, ওয়াটার জাতীয় পাখি এবং রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড বা রাঙ্গাবুড়ির। মজে যাওয়া জলাশয়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এলাকাটিকে পর্যটন কেন্দ্র করে তোলার পরিকল্পনা নেয় ব্লক প্রশাসন। বিডিও রিয়াজুল হক জানান, ‘এটির রামসার জলাভূমির স্বীকৃতি পাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। ফলে, আন্তর্জাতিক জলাভূমির সুযোগসুবিধা মিলতে পারে। এখন কিছু পাখির দেখা মিললেও গাছপালা নেই বললেই চলে। তাদের আশ্রয়স্থল হিসাবে বৃক্ষরোপণ, বিলের সংস্কার করে মাছ চাষ ও এলাকাটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে চলেছে।’
আরও পড়ুন-২৬ লাখের রেকর্ড বিক্রি হল জেলা সবলা মেলায়
প্রতি বছর শীতে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি ঝিলে আসে। শীতের মাস দুয়েক এই নবাবি তালুকে কাটিয়ে তারা ফিরে যায় নিজেদের মুলুকে। আগে শীতের অতিথিদের তেমন দেখা না মিললেও বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জলাশয় সংস্কারের পরই শীতের মরসুমে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি ভিড় জমাচ্ছে। তবে এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি আসতেই চোরাশিকারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। পরিযায়ী পাখিদের একটা অংশ চোরাশিকারিদের হাতে মারা পড়ে। তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে নজরদারি শুরু করেছেন স্থানীয় যুবকরা। বন দফতরের কর্মীরা প্রতিদিন বিভিন্ন জলাশয়ে নজরদারি চালাচ্ছেন।