সংবাদদাতা, কাটোয়া : কাটোয়া (Katwa Hospital) মহকুমা হাসপাতালে ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে ঠিকাদারদের পেশ করা বিল মেটাতে গিয়ে অসঙ্গতি নজরে আসে। ভুয়ো বিল পেশ করে কোটি টাকার উপর ‘হাতানোর’ চেষ্টার অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। যে ৮১টি বিল পেশ করা হয়েছে, তার মধ্যে ‘বিরিয়ানির বিল’ (Biriyani Bill) দেখে চোখ কপালে উঠেছে স্বাস্থ্য ভবনের (Health Department)। ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর অতিথি আপ্যায়নে মাটন বিরিয়ানির ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৮০ টাকার বিল পেশ করা হয়। এ ব্যাপারে কাটোয়া (Katwa Hospital) মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য দফতরের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ। বিল খতিয়ে দেখা হবে কারচুপি হয়েছে কিনা। কী ধরনের ‘অতিথি আপ্যায়ন’ হয়েছিল, কোথা থেকে বিরিয়ানি (Biriyani Bill) আনা হয়েছিল, কে সরবরাহ করেছিল, সব খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিপোর্ট তলবের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম জানান, ‘স্বাস্থ্য দফতরের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সেকশন বিল নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। আমরা যথাশীঘ্র সম্ভব পাঠিয়ে দেব।’ তবে যে সময়ের এই ঘটনা, তখন সৌভিক আলম সুপারের দায়িত্বে ছিলেন না। ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে যেসব ভুতুড়ে বিল জমা পড়েছে, সেগুলির মধ্যে হাসপাতাল চত্বর সবুজায়নের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ টাকার বদলে ঠিকাদার ২ লাখ ১৮ হাজার টাকার বিল পেশ করে। আদতে কোনও গাছই লাগানো হয়নি। এছাড়া একই নম্বরের (ডব্লুবি ৭৫৬৬৭১) গাড়ির একই সময়ে দুবার যাতায়াতের বিল পেশ হয় ১০,৮০০ টাকার। হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য লক্ষাধিক টাকার ৩টি সোফা-সেট-সহ টেবিল কেনা হয় ওষুধের দোকান থেকে। ওষুধের দোকান কী করে ফার্নিচার বিক্রি করে, তা নিয়ে চর্চা চলছে। কয়েকটি বিল পরীক্ষা করে দেখা যায়,ওয়ার্ক অর্ডারের আগেই সেগুলি জমা পড়ে গিয়েছে। বিল যাচাই করতে গিয়ে এই সব বিষয় উঠে আসায় তড়িঘড়ি রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক ডাকা হয়। গরমিল দেখে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনের নজরে আনা হয়। তারপরই তৎপর হয় স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ি: বাড়িতে খোঁজ নিতে পুলিশ সুপার, শ্রমিক পরিবারে উদ্বেগ