প্রতিবেদন : রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী শক্তি বারবার হেরে যাচ্ছে। হেরে যাওয়া থেকেই শুরু হয়েছে কুকথার বন্যা বইয়ে খবরে থাকার চেষ্টা। আবাস যোজনায় কয়েকটি অনিয়মের খবর সামনে আসার পরেই রাম-বামের (BJP-CPM) হলায়-গলায় ভাব। এই ভাব সমবায় ভোটে প্রকাশ্যে এসেছে। এবার একেবারে খোলাখুলি। বিজেপির গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল সর্বভারতীয় সহসভাপতি ফাটা কেষ্ট স্টাইলে বক্তব্য রাখছেন। উসকানি দিচ্ছেন। সাংসদ হয়েও আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলছেন। গাছের ডালে বেঁধে মারার নিদান দিচ্ছেন। দিলীপ একথা বলতেই শীতঘুমে থাকা সিপিএমের সুশান্ত ঘোষ জেগে উঠেছেন। বলেছেন, গলায় দড়ি লাগিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে। রাম-বামের আস্ফালনে তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, একথাই তো বলবেন দিলীপরা। দলে কোণঠাসা। জনবিচ্ছিন্ন সংগঠন। সন্ত্রাস ছাড়া বাঁচার উপায় কী? মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, রামের সঙ্গে আবার দোসর হয়েছে বাম (BJP-CPM)। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে রাজ্যের বারোটা বাজানোর পরেও এখনও ক্ষমতায় ফেরার উচ্চাশা। জনগণ যদিও দলটাকে শূন্যে নামিয়ে এনেছে। সুশান্তের নাম শুনলে তো মাটির নিচে নরকঙ্কালের কথা মনে পড়বে বাংলার মানুষের। বামের বোধ হয় ভুলে গিয়েছে তাদের বিপিএল তালিকা কেলেঙ্কারির কথা। মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, নেতা থেকে ব্যবসায়ী, কারা ছিলেন না সেই সব বিতর্কিত তালিকায়। সেই হিসেব দেওয়ার বুকের পাটা রয়েছে বামেদের? সুশান্ত-দিলীপ একই সুরে কথা বলছেন। এটাই বাস্তব। আমরা বহুদিন ধরে বলছি রাম-বাম অশুভ জোটের কথা। সেটা ওঁরাই বারবার প্রমাণিত করছে।
আরও পড়ুন-বাংলাই পথ দেখায় বিশ্বকে : রাজ্যপাল