প্রতিবেদন : বছর ঘুরলেই গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ব্যাপক চাপে বিজেপি ও কংগ্রেস। কারণ আগের বার জেতার পরও যেভাবে বিজেপির কাছে কংগ্রেস নিজেদের বিকিয়ে দিয়েছিল এবং না জিতেও যেভাবে বিজেপি গোয়ায় সরকার গড়েছিল সেই বিশ্বাসঘাতকতা আজও ভোলেনি গোয়াবাসী৷
যথারীতি এবারও বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। শনিবার এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন গোয়া তৃণমূলের নেতারা৷ এদিন পানাজির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি, কংগ্রেস ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। গতবারের বিজেপির জোটসঙ্গী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে এবার জোট করেছে কংগ্রেস। এই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি হল এমন এক দল, যারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে ‘যখন যেমন তখন তেমন’ নীতিতে চলে। এদের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্য। তাই গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোয়াবাসীকে এই তিনটি দলের সম্বন্ধেই সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ছাঁটাই হাবাস, কোচ বদলের ভাবনা লাল হলুদেরও
উল্লেখ্য, গোয়ায় ক্ষমতায় এলে ‘গৃহলক্ষ্মী কার্ড’ চালু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই ঘোষণার পর থেকেই গোয়ার মহিলাদের মধ্যে তুমুল উৎসাহ–উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই গোয়ার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের রাজনৈতিক শিবিরে স্থানীয় মহিলাদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। ‘গৃহলক্ষ্মী কার্ড’–এর বিষয়ে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। এসব দেখে অশনি সংকেত দেখছে গোয়া বিজেপি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দৃপ্তকণ্ঠে বলেছেন, গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস হয় সরকার গড়বে নয়তো প্রধান বিরোধী দল হবে। এর মাঝামাঝি কিছু নেই। এরপর এখন আরও চাপে গোয়া ও দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব।