শীতের নিউমার্কেট

শীত পড়ল কী উৎসবের শুরু। একে শীতকাল তায় অনুষঙ্গে বড়দিন, বর্ষশেষ, বর্ষবরণ। শীতসাজে সবচেয়ে জমকালো হল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র হগ সাহেবের বাজার বা আমাদের অতিপ্রিয় নিউমার্কেট। কমলালেবু শাল,চাদর, ফ্রুটকেক, প্লাম কেক, কুকি, ব্রাউনি, সান্তাক্লজ-এর পশরা নিয়ে শীতের নিউমার্কেট জমজমাট। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

প্রতিবেদন : তিরতিরে হাওয়া, নিম্নচাপ, বৃষ্টি, বাদলকে অজুহাত করে শীতের প্রবেশ এ বঙ্গে। গ্রীষ্মে ঘামে চুপসে যাওয়া বাঙালির শীতের সঙ্গে বড়ই আলগা পিরীত। শীত ঠিক পড়তে পারে না তার আগেই মার্জার সরণিতে বাঙালির পশমী পোশাকের ক্যাটওয়াক শুরু হয়ে যায়। গরমজামা গায়ে চাপিয়ে ইতিউতি ঘুরে বেড়িয়ে শীতকে উপভোগ করেন তাঁরা। আর শীতসুন্দরীর পছন্দ হল সোয়েটার, শাল, চাদর, টুপি, কেকের ম ম সুগন্ধ এবং নিউমার্কেটে তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া উৎসবের আমেজ। এই কারণেই যেন তাঁর আগমন হয়। সেই সাহেবসুবোর আমল থেকেই বাঙালির আভিজাত্য, ট্রাডিশন, রোজনামচা, এবং প্রতিটা সেন্টিমেন্টের সঙ্গে নিউমার্কেট যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। যদি একটু ইতিহাসের পাতা ওল্টাই তাহলে চলে যেতে হবে সিপাহি বিদ্রোহের সময়। ১৮৫৭ সাল ছিল সিপাহি বিদ্রোহ। সিপাহি বিদ্রোহের সঙ্গেই শেষ হল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালও। এর ঠিক পরের বছর ১৮৫৮ সালে ইংল্যান্ডের রানি আইন প্রণয়ন করে ভারতের শাসন নিজের হাতে তুলে নেন। তখন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। এর ফলে কলকাতায় ইংরেজদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকল। এই শহরে ডালহৌসি স্কোয়ারে তখন ছিল ইংরেজ কোয়ার্টার। কাছাকাছি টেরিটিবাজার ও লালবাজার এলাকাতেই তখন সাহেবসুবোরা শপিং করতেন। এরপর ধীরে ধীরে ব্রিটিশরা ছড়িয়ে পড়ে ধর্মতলা এবং চৌরঙ্গি অঞ্চলে। ১৮৫০ এর দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা কলকাতায় তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। সেই সময় তাদের নিজস্ব একটি বাজার বা মার্কেট প্লেস তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছিল। কারণ নেটিভদের সঙ্গে এক বাজারে যাতায়াতে তাদের প্রবল আপত্তি ছিল। এই সময় বাণিজ্যের বিষয়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যার প্রাণকেন্দ্র ছিল কলকাতা। কাজেই ব্রিটিশ বাসিন্দাদের জন্য কলকাতা কর্পোরেশন কমিটি একটি বাজার করার কথা ভাবতে শুরু করে। সাল ১৮৬৬ – ৬৭, কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটির তদানীন্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন স্যার স্টুয়ার্ট হগ। যাঁর তৎপরতায় এই চত্বরটিকে বেছে নেওয়া হয় এবং শুরু হয় মার্কেট তৈরির কাজ। এটি ছিল লিন্ডসে স্ট্রিট এলাকা, যা কর্পোরেশন কিনে নিয়েছিল এমন একটি পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করবে বলেই। মার্কেট নির্মাণের দায়িত্ব পান ম্যাকিনটশ বার্ন কোম্পানি। খ্যাতনামা স্থপতি রিচার্ড বেইন-এর নকশা তৈরি করেন। তিনি তখন ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তাঁর নকশা অনুযায়ী ব্রিটেনের রেলের প্ল্যাটফর্মের আদলে তৈরি হয় নতুন এই মার্কেট। যা দেখতে অনেকটা হাওড়া স্টেশনের মতো। ১৮৭৪ সালে এই মার্কেট খুলে দেওয়া হয়। ক্রেতা বলতে তখন শুধুই ইংরেজরা। কথিত আছে, মেমসাহেবরা নাকি ঘোড়ার গাড়ি চড়ে আসতেন নিউমার্কেটে বাজার করতে।

আরও পড়ুন : গোয়ায় বিজেপির বি–টিম কংগ্রেস ভোটপ্রচারে সতর্ক করছে তৃণমূল

হগ সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই মার্কেট গড়ে ওঠে বলে ১৯০৩ সালে স্যার স্টুয়ার্ট হগের নামানুসারে এই মার্কেটের নাম হয় এস এস হগ মার্কেট। স্থানীয় মানুষের ভাষায় হগ সাহেবের বাজার। এর আরও নানা সংস্কার হয়েছে পরবর্তীকালে। বর্তমান নিউমার্কেটের যে অংশ বাড়ানো হয়েছে তা গড়ে ওঠে ১৯০৯ সালে। এই হগ মার্কেট ইতিহাসের সাক্ষ্য। এরপর ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের হার্ডাসফিল্ড থেকে এক বিশালাকৃতির ঘড়ি নিয়ে বসানো হল হগ মার্কেটে। বলা হয়ে থাকে ইংল্যান্ড এবং কলকাতা নিউমার্কেট পৃথিবীর এই দুই জায়গাতেই রয়েছে এমন ঘড়ি। ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে চলে যাবার পর আজ বহুবছর এই মার্কেট বাঙালির তথা কলকাতাবাসীর নিত্য নৈমিত্তিক জীবনের অঙ্গ। তারাই এখন নিউমার্কেটের প্রাণভ্রোমরা। নিউমার্কেট ঘিরে কত গল্পগাঁথা রয়েছে। কত সিনেমার শুটিং হয়েছে এই চত্বরে। সত্যজিৎ রায়ের গল্পের নায়ক প্রদোষ মিত্র আমাদের প্রিয় ফেলুদাও নিউমার্কেটে আসতেন শীত-পোশাক কিনতে। রবীন্দ্র সাহিত্যে উল্লেখিত রয়েছে ওই সময় অভিজাত বংশের মহিলাবর্গ নিউমার্কেটে আসতেন কেনাকাটা করতে। বিশেষ করে ফল কিনতে আসতেন তাঁরা। রাজশেখর বসুর বিরিঞ্চিবাবায় বলতে শোনা যায় নিউমার্কেটে জলহস্তীর মাংস পর্যন্ত পাওয়া যায়। নিউমার্কেট বাঙালির নস্টালজিয়া। সত্যি বাঘের দুধ খুঁজলেও পাওয়া যাবে এখানে। এটাই কলকাতার প্রথম বাজার। এখানকার বহু দোকানের বয়স একশো বছরেরও বেশি। এখানে বিখ্যাত অনেক কিছু। এখানে বিখ্যাত শীতঋতু। এখানে বিখ্যাত ফল, এখানে বিখ্যাত শীতের সবজিমান্ডি অর্থাৎ সবজির পাইকারী বাজার। এখানে বিখ্যাত নাহুমসের কেক এবং লোকাল বেকারির গরম কেক, সোয়েটার জ্যাকেট, পুলোভার। এখানে বিখ্যাত ক্রিসমাস। এখানে এলে খালি হাতে কেউ নেই। হৈ হৈ রৈ রৈ একটা চত্বর। কাঁচাবাজার থেকে মশলা,পোশাক সবকিছুর সেরা নিউমার্কেট আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে শীতের অনুষঙ্গে। সামনেই ক্রিসমাস এবং নিউইয়ার তাই সেজে উঠেছে শহরের সেরা বাজারটি সবার জন্য।
মেরি ক্রিসমাস

মেরি ক্রিসমাসের এক সপ্তাহ আগে এই চত্বরে এসে গেছে সান্তাবুড়ো। লাল জামা, লালটুপিতে নানা মাপের সান্টাক্লজ হাজির সঙ্গে এক সে বড় কর এক ক্রিসমাস ট্রি। সবচেয়ে সুন্দর সেই গাছ সাজানোর উপকরণগুলো বেলস, রেইনডিয়ার,পিনকোন স্নোম্যান, গিফট বক্স, স্টার, ড্রামস,স্নো স্টার, ক্যান্ডি স্টিক,বলস,মেরি ক্রিসমাস হ্যাঙ্গিং, ক্রিসমাস গার্লন্ডস শেষ হবে না তালিকা। ক্রিসমাস উদযাপনের এর যে কোনও আইটেমের জন্যে সেরা ঠিকানা হল হগ মার্কেট। কেক বাদ দিয়ে হগ সাহেবের বাজার একেবারেই জৌলুসহীন। কেকের সুগন্ধে মাত হতে এখানকার ঐতিহ্যবাহী কেক শপগুলোয় এই সময় লম্বা লাইন। সেই সঙ্গে এখন বাড়িতে বাড়িতেও চলে কেক তৈরি। বাবর আলি সরদার এলে কেক তৈরি সব কিছু মিলবে এক ছাদের তলায়। বহু পুরানো এই দোকানে ছাঁচও সেই পুরোনোই রয়ে গেছে বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই কিন্তু ভিতরে ঢুকলেই ম্যাজিক। কেক তৈরির ক্রিম,ডার্ক চকলেট,চকোচিপস, টুটিফ্রুটি, চেরি নানারকম ফনড্যান্ট, কেক মেকিং বোওল, মাফিন বোওল, বাটার পেপার কেক দুনিয়ার স্বর্গ। পৃথিবীর কোনও কেক বানানোই কঠিন নয় মনে হবে বাবর আলিতে ঢুকলে।

কেক কুকিজে
নিউমার্কেট আর নাহুমসের সমার্থক বলার অপেক্ষা রাখেনা। নিউমার্কেট মানেই নাহুমস বেকারি। বড়দিন আসে প্রতিবছর,শীতকালও আসে কিন্তু কলকাতার নামকরা কিছু পুরনো বেকারির প্রতি মানুষের আকর্ষণ আজও এক রয়ে যায়। যা শুধু কলকাতাবাসীর কেন কেকেপ্রেমীদের দুর্বলতম স্থান। সারাবছর নাহুমসে ক্রেতার ভীড় লেগেই থাকে কিন্তু শীতকালে নিউমার্কেট এলে ঢুকতেই হবে নাহুমস বেকারিতে। প্রায় ১২০ বছরের এই বেকারি আজও একইরকম জনপ্রিয়। নাহুমসের বিশেষত্ব হল তাঁদের ফ্রুট কেক। রিচ ফ্রুট কেক, স্পেশাল ফ্রুটকেক এর স্বাদগন্ধর সাক্ষী কলকাতাবাসী। সূদুর বাগদাদ থেকে নাহুম ইজরায়েল এখানে এসে ১৯০২ সালে এই কেকে শপটি খোলেন। বর্তমান মালিক স্যার আইজ্যাক নাহুমের পূর্বপুরুষ তিনি। আইজ্যাক নাহুম প্রতিবছর শীতকালে আসতেন শুধু কলকাতাবাসীকে নিজের হাতে কেক খাওয়াবেন বলে। তাঁর বর্তমান প্রজন্মরাও এখন এই ব্যবসায় আগ্রহী তাঁরাও দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে এই কেক শপটির সঙ্গে আইজ্যাক নাহুমের শুধু ব্যবসায়িক মানসিকতা নয় জড়িয়ে রয়েছে সেন্টিমেন্টও। পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ রকম আইটেম রয়েছে নাহুমসে। ফ্রুট কেক ছাড়া প্লাম কেক, প্লেন কেক,কুকিজ,ব্রাউনি,হার্ট শেপ মাফিন নানারকম প্যাটিস,পুডিং, ট্রাডিশনাল চকলেট কেক, স্ট্রবেরি কেক, রামবল,বিস্কুট এর সেই চেনা সম্ভারের দেখা মেলে আজও একইরকম ভাবে। যদিও করোনাকালের পর নাহুমসের প্রতিটা আইটেমের দাম বেড়ে গেছে। লোকের পকেটে টান তাই ব্যবসায় তার প্রভাব পড়েছে একটু আধটু কিন্তু তবুও নাহুমসে ভীড়ের কমতি নেই। কলকাতা শহরে বেকারির কমতি নেই কিন্তু নাহুমসপ্রেমীরা সেই তালিকায় পড়েন না। এখানকার কেকের স্বাদ গন্ধের কোনও তফাত হয়নি এত বছরেও। সর্ব ধর্ম প্রজাতির, আবালবৃদ্ধবনিতার চাহিদার মাপকাঠিতে উতরে গেছে এই কেক শপ। তবে নিউমার্কেট এলে একটু খঁজে নিতে হবে কিছু চেনা পছন্দকেও। নাহুমসের পাশেই রয়েছে লোকাল বেকারির দোকানপত্রও। গরমাগরম কেক, প্যাটিস একবার চেখে না দেখলে বোঝার উপায় নেই যে দামে খুব সস্তা হলেও তা মানে উচ্চ। গরম কেক, গরম কেক হাঁকডাক শুনলে মনে হয় দু চারটে কিনে নিতেই হবে।

আরও পড়ুন : ছাঁটাই হাবাস, কোচ বদলের ভাবনা লাল হলুদেরও

ফলে ও ফুলে
নিউমার্কেটের ফল আর ফুলের সুখ্যাতি বহুদিনের। এখানে কমলালেবু আসত সূদুর প্যালেস্টাইন থেকে ইতালি থেকে আসত লেবু, আমেরিকা থেকে আসত আপেল। এখনও ফলের আভিজাত্যে নিউমার্কেটের ধারপাশে কেউ নেই। কমলালেবু,স্ট্রবেরি,আপেল, মোসাম্বি, আনারস, পাকা পেঁপে সব কিছু নিটোল সুন্দর। দাম এবং কোয়ালিটিও এক নম্বর। এখানকার ফলের পাশাপাশি ফুলের দোকানগুলো যেন এক একটি ফ্লাওয়ার বুটিক। কী পাবেন না। যা খুশি নিয়ে নিন। বড় বড় শুটিং জন্য যেকোনও এর ফুলের গয়না, বিয়ের কনের ফুলেরগয়না, বিয়ে বাড়ির ফুলসাজ, ফুলের বোকে সবকিছুই দুর্দান্ত। কী ফুল নেই যা চাইলে পাবেননা। শীতফুলে একাকার হয়ে লাজুক চোখে তাকিয়ে থাকে নিউমার্কেট ফুলপট্টি। ভাল জাতের অর্কিড, লিলি, গোলাপ, ডিফোডিল, জারবেরা, সূর্যমুখী ,পিওনির বৈচিত্রে মন ভরে যায়। বিয়ে,পার্টি, সংগীত,মেহেন্দির আর্টিফিশিয়াল ফ্লাওয়ারের এক্সক্লুসিভ ডেকরেশন দেখলে বিস্মিত হতে হয়।

শীতবস্ত্রে

শীতের নিউমার্কেটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শীতবস্ত্র বা সোয়েটার, পুলোভার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, জাম্পার, ভেস্ট এইসব কিছু। প্রসঙ্গত জেনে রাখা ভাল উল বা ক্রুশে বোনা গরম জামাই হল সোয়েটার। মাথা গলিয়ে যেটা পরে সেটা হল পুলোভার। সামনে চেরা হলে কার্ডিগান। যে সোয়েটারে হাত বা স্লিভ থাকেনা সেটা ভেস্ট। উচুগলার বা হাইনেক সোয়েটারকে বলা হয় জাম্পার। প্রায় ২০০০ বছর আগে মানুষ পশম বুনতে শুরু করে। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে সেবাস্টিয়ান এবং তার সমসাময়িক নামী ডিজাইনাররা উলের ভারী বুননের সোয়েটার প্রবর্তন করেন। এই সময় ডিজাইনার পিয়ের কাদে অ্যাক্রেলিক ইয়ার্ণ দিয়ে কালারফুল সোয়েটারের প্রচলন করেন। সেইসব অভিজাত সোয়েটারের পাশাপাশি শীতে নিউমার্কেট জুড়ে থাকে নানা মানের ও দামের শীতপোশাকের পসরা। নিউমার্কেটে বাঙালি যায় মূলত কাশ্মীরি শাল কিনতে। পুরনো হগ মার্কেটের বিল্ডিংএ শালের এম্পোরিয়াম। সেখানে দাড়ালেই দেখা মিলবে অপূর্ব সব কাশ্মীরি হাতে বোনা এবং মেশিন বোনা শালের। নানারকম কাশ্মীরি ঘরসাজানোর সামগ্রীও পাওয়া যায় শোরুমগুলোয়।পাশাপাশি রয়েছে নানাধরনের সোয়েটার, স্টোল, চাদরের দোকান। মার্কেটের বাইরে ঢালাও স্টোল,চাদর কার্পেট,রাজাই, জ্যাকেট,সোয়েটার, কার্ডিগান, উলের মোটা শীত পোশাকের অঢেল সম্ভার। রয়েছে লেদার জ্যাকেটের দোকানও। শীতে পরার একটু রোয়া ওঠা টিশার্ট,টপ,বিভিন্ন ধরনের শেপ সাইজ ও রঙের শীতপোশাক, উলেন টুপি, স্কার্ফ, মাফলার, গ্লাভস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিউতি। এই শীতে নিউমার্কেট উৎসবে সামিল হতে পুরো তৈরি।

Latest article