প্রতিবেদন : নারীর ক্ষমতায়নের কথা শুধু কথায় নয়, কাজে করে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০টি জেলা পরিষদই গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি পদে রয়েছেন ১৯ জন মহিলা। নিশ্চিতভাবে দেশে নিদর্শন তৈরি করছে বাংলা। জেলা পরিচালনার দায়িত্বে মহিলাদের এমন সংখ্যা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথমে।
আরও পড়ুন-হাওয়াই পুড়ছে আর ছুটিতে প্রেসিডেন্ট! প্রবল বিতর্কের পর বিবৃতি বাইডেনের
নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতোই বুধবার ১৬ অগাস্ট জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন সম্পন্ন হল বাংলা জুড়ে৷ বুধবার ন’টি জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ–সভাধিপতিরা দায়িত্ব বুঝে নিলেন৷ স্বাভাবিকভাবেই বাংলা জুড়ে উচ্ছ্বাস–উদ্দীপনার ছবি ধরা পড়েছে৷ বাংলা মেতেছে সবুজ আবিরের খেলায়৷ তবে উল্লেখযোগ্যভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিজেপি৷ এখানে দীর্ঘদিনের পুরনো মুখ খেজুরির উত্তম বারিকের উপর আবারও সভাধিপতির দায়িত্ব দিয়েছে দল৷ সহ–সভাধিপতি হয়েছেন নন্দীগ্রামের সুহাসিনী কর৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে উচ্ছ্বাসে, আহ্লাদে ফেটে পড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা৷ এই জেলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনের পবিত্র ভূমিতে গদ্দার, দলবদলুদের কোনও জায়গা নেই৷
আরও পড়ুন-ফের কোটায় আত্মঘাতী
আগামী লোকসভা নির্বাচনেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জোড়াফুল ছাড়া আর অন্য কোনও ফুলের ঠাঁই হবে না৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে গদ্দারদের হাড়েমজ্জায় বুঝিয়ে দিয়েছেন৷ শুধু এই জেলা কেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও তৃণমূলের জয়জয়কার৷ এবার জেলা পরিষদের বেশিরভাগ জায়গায় মহিলাদের সামনের সারিতে রেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস৷ অনেক নতুন মুখ এবার সভাধিপতির আসনে বসেছেন৷ জেলার রাজনীতিতে সামনের সারিতে নতুন মুখ এনে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন৷ আবার একইসঙ্গে দলের অন্দরে এই বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সঠিকভাবে কাজ করলে দল তার যোগ্য কর্মীকে খুঁজে নেবে৷ বাংলা জুড়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ৷ এখন থেকে উন্নয়নই একমাত্র পাখির চোখ৷ সারা বছর মানুষের পাশে থেকে তাঁদের চাওয়া–পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বোর্ড জেলায় জেলায় বুঝিয়ে দেবে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, তৃণমূল কংগ্রেস কাজও করে৷ কথা দিয়ে কথা রাখে৷ বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের রামধনু জোটের মতো ভোটপাখি নয়৷