প্রতিবেদন : চোরের মায়ের বড় গলা। বিজেপির পুজো কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে। দলের নেতা-কর্মীরা সরাসরি নেতৃত্বের উদ্দেশে বলছেন, পুজোর অনুদানের টাকা ‘ঘাপলা’ করা হয়েছে। শুধু অভিযোগ করাই নয়, মগরাহাটে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের সামনেই এ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হাতাহাতি করলেন। বিক্ষোভ দেখালেন। দিলীপ ঘোষ অপ্রস্তুত হয়ে পালিয়ে বাঁচলেন।
আরও পড়ুন-সাপের বিষ সরবরাহের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলভিশ যাদবকে সমন
মঙ্গলবার মগরাহাটের ধামুয়ার মুলটিতে বিজয়া সম্মিলনীর সভা ছিল। দিলীপ আসতেই তাঁর সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। জেলা সাংগঠনিক সভাপতি উৎপল নস্করের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ। তাঁকে ধরে প্রথমে ঠেলাঠেলি। তারপর চড়-থাপ্পড়। অন্য কর্মীরা এসে না বাঁচালে হাসপাতালে পাঠাতে হত বিজেপির এই পুজো কেলেঙ্কারির নেতাকে। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, পুজোর সময় দলের তরফে পুজো করার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। উৎপল নস্কর সেই টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পুজোর জন্য দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। শুধু এই ঘটনাই শেষ নয়, কেউ কেউ আরও এক কদম এগিয়ে বলেন, বিজেপি জেলা সভাপতি বেআইনি কিছু জমিজমাও কিনে ফেলেছেন। যে রাজ্য বিজেপি সকাল-বিকেল বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে, সেই বিজেপির মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে টুঁ শব্দটি শোনা যায়নি। পুজো নিয়ে রাজ্য সরকারকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে নিজেদেরই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে। ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মীদের বিক্ষোভ, হাতাহাতি।
আরও পড়ুন-অশান্ত ছত্তিশগড়, বিস্ফোরণে আহত এক বিএসএফ জওয়ান সহ দুই ভোটকর্মী
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। মথুরাপুরে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি নেতা প্রদ্যুৎ বৈদ্যকে হাইকোর্ট চত্বরে দলেরই এক নেত্রী জুতোপেটা করেন। মথুরাপুরেরই সভাপতি নব্যেন্দু নস্করকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে। এবার দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করতে গিয়ে দেখলেন দলীয় কর্মীদের মারামারি, কুৎসিৎ গালাগালি এবং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
আরও পড়ুন-‘বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সই করছেন না রাজ্যপালরা’ ক্ষুব্ধ স্পিকার
একদিকে মগরাহাটে যখন এই ঘটনা তখন বিজেপির দুই নেতা অনুপম হাজরা ও শমীক ভট্টাচার্যের কাদা ছোঁড়াছুড়ি বাংলার মানুষের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। দলের আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় পরিস্কার বলে দিয়েছেন, বাংলায় বিজেপি নেতারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এদের দিয়ে বাংলা বিজেপির কিছুই হবে না।