প্রতিবেদন : অর্জুন সিং দল ছাড়তেই বিজেপির নেতাদের মধ্যে কুৎসিত কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেল। নিজেরা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিষোদগার করলেন। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা রাজধানী দিল্লিতে এসে, দলীয় ভাঙ্গন নিয়ে পর্যালোচনা করার পরিবর্তে একে অপরের বিরুদ্ধে কার্যত বাকযুদ্ধ জড়িয়ে পড়লেন। অনুপম হাজরার মতে, একের পর এক নেতাদের দল থেকে চলে যাওয়ার বিষয়টিকে রাজ্য নেতৃত্ব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও তাঁর মতের সঙ্গে একমত নন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার কথা অনুযায়ী, অর্জুন সিং এসে কতটা লাভ হয়েছে আমার জানা নেই। এলে যদি লাভ না হয়ে থাকে, চলে গেলে ক্ষতি হবে কেন? এটাও আত্মসমালোচনা করা উচিত।
আরও পড়ুন-আবেগের ম্যাচে কৃষ্ণরা, সময় নিয়েও অভিযোগ তিন দলের
দলের বাইরে থেকে বলা উচিত নয়। কোনও সমস্যা থাকলে দলের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা উচিত। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন অনুপম। তার বক্তব্য, নেতারা দল ছেড়ে চলে গেলে আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা হচ্ছে সেটা লঘু করে দেখানোর। বলা হয়, কোনও ক্ষতি হবে না। এই কথা বলে যে হালকা মনোভাবের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে সেটা বন্ধ হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। অনুমপের আরও সংযোজন, একজন সাংসদ চলে যাচ্ছেন অথচ বলা হচ্ছে যে কোন ক্ষতি হবে না আমার মনে হয় এটা খুবই হাস্যকর। তবে এই মূহুর্তে ঘুরে দাঁড়ানো দূরে থাক মুষল পর্ব চলা বিজেপির বর্তমান ট্রেনি সভাপতি ও লোডশেডিং অধিকারীরা দলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে আরও বেশি করে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বাড়িয়েই চলেছেন।
আরও পড়ুন-শেষ আটে প্রজ্ঞানন্দ
দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষ ঢালছেন। এরই মধ্যে অর্জুন সিং দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় সোমবার কলকাতায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এসে লোডশেডিং অধিকারীকে বারাকপুরের দায়িত্ব দিয়েছে। এ নিয়েও বিজেপির অন্দরে চলছে হাসাহাসি। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, গরুর গাড়ির হেডলাইট। যে নিজের এলাকা কাঁথিতে নিজের পাড়ায় জিততে পারে না তাকে দিয়েছে বারাকপুর সামলানোর দায়িত্ব।