নিশীথ-বার্লার কাজে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে ক্রমশ জনভিত্তি হারাচ্ছে বিজেপি। আর তার কারণ তাদের দলেরই নেতা-মন্ত্রীরা। উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। কিন্তু মোদি-শাহ তথা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাংলাকে অশান্ত করে তোলার লাগাতার চক্রান্তের শরিক হয়ে দুই মন্ত্রীর কার্যকলাপে জলপাইগুড়িতে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক প্রচুর গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাত্রা করেছেন। আর তার এই যাত্রাকে সমর্থন করতে গিয়ে বিধি ভেঙে জেলার ২৭৩ জন নারায়ণী সেনার সদস্যকে জেলে যেতে হয়েছে। এর মধ্যে ২২৩ জনের জামিন হলেও বাকিদের এখনও হয়নি। অর্থাৎ বাকিরা এখনও জেলে। মূলত কোভিডবিধি লঙ্ঘন ও পুলিশের ওপর আক্রমণের অপরাধেই এই শাস্তি। জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতার কথায়, নিশীথের এই জনসমাগম একেবারেই অনভিপ্রেত ছিল। তাঁর এই কার্যকলাপে অসন্তোষ বাড়িয়েছে দলে।

আরও পড়ুন : “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী দুটোই এক্ষেত্রে খুব কাজের”

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, ‘এসব বিভিন্ন কারণে মানুষ বিজেপির সঙ্গে আর নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।’ এ পর্যন্ত বিভিন্ন বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ৫০০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আর তাদের জামিন করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জেলা নেতৃত্ব। আরেক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বঙ্গভঙ্গ নীতি এবং হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়গুলি দলীয় কর্মীদের ওপর যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে এসে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বঙ্গভঙ্গকে সায় দেওয়ায় দলীয় কর্মীদের মনোবল কমিয়ে দিয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরীণ এই সমস্যাগুলো আখেরে সুবিধে করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

Latest article