প্রতিবেদন : নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। শুক্রবার মুজফফরনগরে তিনি একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি তাঁকে সভা করতেও বাধা দিচ্ছে। এই কারণে দিল্লি থেকে ফেরার সময় তাঁর কপ্টারকে কিছুক্ষণের জন্য আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কপ্টার আটকে রাখা বিজেপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অখিলেশের কটাক্ষ, আসলে ওরা ভেবেছিল, এভাবে দেরি করিয়ে দিলে জনসভা থেকে সব মানুষ চলে যাবে। কিন্তু তা যে হওয়ার নয়, সে তো দেখাই যাচ্ছে। এখানে আমার কথা শোনার জন্য অসংখ্য মানুষ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে আছে। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন-বাগানে বসন্ত, শ্রমিকদের মুখে হাসি
সপা প্রধান এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক দলের জোটের কাছে বিজেপি কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। ওরা তাই ভয় পেয়েছে। ওদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। সেটা বুঝে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সে কারণেই তিনি তলে তলে আরএলডি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। চেষ্টা করছেন যাতে সপার সঙ্গে তাদের জোট ভাঙা যায়। ভাবুন বিজেপির কী অবস্থা!
কৃষি আইন নিয়েও এদিন তিনি বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, যাদের জন্য আইন করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে বিজেপি একবারও কথা বলার প্রয়োজন বোধ করল না। উল্টে তাদের উপেক্ষা করে বলা হল সরকারই ঠিক করবে কী আইন হবে। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় ওরা গণতন্ত্র মানে না। মানুষের মতামত, ভাবনার কোনও মূল্য নেই ওদের কাছে। সপা প্রধান বলেন, ক্ষমতায় এলে আমরা কখনওই বিজেপির মতো জোর করে কোনও কিছু উত্তরপ্রদেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেব না। কৃষি আইনের মতো যদি কোনও ক্ষতিকর আইন কেন্দ্রে বিজেপি করার চেষ্টা করে তবে আমরা সর্বতোভাবে তার প্রতিরোধ করব।
আরও পড়ুন-ইতিহাস থেকে আর এক ধাপ দূরে রাফাল
এর আগে আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরিও ট্যুইট করে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। আরএলডি নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁরা সপার সঙ্গী ছিলেন ও থাকবেন। বিজেপির প্রতি কোনওরকম সহানুভূতি তাঁদের নেই। একইসঙ্গে তিনি বিজেপিকে পরামর্শ দেন, তাঁকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ৭০০ কৃষকের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাতে। যে ৭০০ কৃষক পরিবারকে বিজেপি ধ্বংস করে দিয়েছে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছেন জয়ন্ত। সূত্রের খবর, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ ভোট পেতে আরএলডি নেতার কাছে দূত পাঠিয়েছিল বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ তুলেই আরএলডি নেতাকে পাশে নিয়ে ভরা সভায় বিজেপির দেউলিয়া রাজনীতিকে কটাক্ষ অখিলেশের।