সংবাদদাতা, বারাসাত : বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। বাংলাকে ভাতে মারতে চাইছে বিজেপি। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আতঙ্কিত বিজেপি তাই বাংলাকে ধর্মের মোড়কে ভাগ করতে চাইছে। বুধবার বারাসতের রবীন্দ্রভবনে বারাসত সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি’র শ্রমিক সম্মেলনে এসে এভাবেই বিজেপিকে একহাত নিলেন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-সরকারি কর্মীদের আরও সুবিধা
সম্মেলনে ছিলেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, নির্মল ঘোষ, বারাসতের পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ, হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা, সুনীল মুখোপাধ্যায়, জ্যোতি চক্রবর্তী প্রমুখ। সম্মেলনে শ্রমিক নেতা-কর্মীদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস দাশগুপ্তের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, অসংগঠিত শ্রমিকদেরকে আরও বেশি করে সংগঠনের আওতায় আনতে হবে। শ্রমিকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব জনহিতকর প্রকল্প তৈরি করেছেন সেগুলি শ্রমিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে জানাতে হবে। কারণ আগামী দিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি শ্রমিকরা। কারণ বিজেপি জিতলে ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধ করে দেবে। বিজেপি ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাতে চাইছে। ২৯টি শ্রমআইন বাতিল করে দিয়েছে। ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে সারা পৃথিবী জুড়ে যে আন্দোলন হয়ে মে দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাকে অস্বীকার করছে বিজেপি। কালা আইন করে ৮ ঘণ্টা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মাত্র দুটি রাজ্য এই আইন মানছে না। তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা রয়েছে।
আরও পড়ুন-বিপাকে গদ্দার, সারদা কর্তার চিঠিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কাঁথি পুরসভায় ৫০ লাখের ড্রাফ্ট
তিনি মে দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, সিপিএম মে দিবসকে তার পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। আবার বিজেপির এই কালাকানুনের বিরোধিতাও করছে না। বামেদের এই দ্বিচারিতা মানা যায় না। তাই আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।