‘বিজেপি বাংলায় রাজনীতি করার যোগ্য নয়’, স্পষ্ট জানালেন কুণাল ঘোষ

অন্যদিকে, অন্তদ্বন্দ্বে জর্জরিত রাজ্য বিজেপিতে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Must read

রাজ্যে এই প্রথম নয়। পর পর নির্বাচনে হারছে বিজেপি(BJP)। দলের অন্দরে এই নিয়ে কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। আদি বিজেপি, তৎকাল বিজেপি ও পরিযায়ি বিজেপি সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা শীর্ষ নেতৃত্বের। আবার নতুন করে ‘কামিনী কাঞ্চন’ তত্ত্ব জোরালো হয়ে উঠেছে রাজ্য বিজেপিতে। এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। স্পষ্ট করেই তিনি জানালেন, যদি বিজেপিতে টাকার খেলা হয়ে থাকে তবে তা আর্থিক তছরুপ মামলার আওতায় পড়ে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উচিৎ এর তদন্ত করা।

আরও পড়ুন-এবারে BGBS-এর দুদিনে রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগের প্রস্তাব : মুখ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপিতে কামিনি কাঞ্চনের অভিযোগ প্রথমবার নয়। দলের এক সিনিয়ার নেতা সহ অনেকেই এই অভিযোগ তুলেছেন। কামিনী নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সেটা ওদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে কাঞ্চন নিয়ে বারবার বিজেপিতে যে অভিযোগ উঠছে ইডির উচিৎ এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত করা। এই ধরনের অভিযোগ আর্থিক তছরুপ মামলার আওতায় পড়ে ইডি কেন এই অভিযোগের তদন্ত করবে না। যে টাকার খেলা বিজেপির ভেতর চলছে ইডি-সিবিআইয়ের উচিৎ এবিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা। উল্লেখ্য, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হারের পর তথাগত রায় সরাসরি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কামিনী কাঞ্চনের অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপর থেকে বারবার একাধিক নেতা শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনারই তদন্তের দাবিতে এবার সরব হলেন কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে অ্যাম্বুলেন্স ! মৃত ১ – আহত ৩

অন্যদিকে, অন্তদ্বন্দ্বে জর্জরিত রাজ্য বিজেপিতে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সুকান্তর অভিজ্ঞতা কম, সবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু ওঁর জানা উচিত যাঁরা এত দিন আন্দোলন করেছেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।” বিজেপির এহেন মুষলপর্ব প্রসঙ্গে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপিতে শুধু আদি-নব্য নয়, আদি-তৎকাল-পরিযায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এটা যে হবে, সেটা আমরা অনেক আগেই বলেছি। এই বিজেপি বাংলায় রাজনীতি করার যোগ্য নয়। তাই বাংলার মানুষ বিজেপিকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। নিজেদের হাসির খোরাক করছে।”

Latest article